একই নম্বরে অন্য অপারেটরের সেবার নিলাম শুরু কাল
উম্মুল ওয়ারা সুইটি : একই নম্বরে গ্রাহক সব মোবাইল অপারেটরের সুযোগ পাবেন এ বছরের ডিসেম্বর থেকে। মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) বা নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটরদের এই সেবা উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
প্রাথমিকভাবে ১৫ বছর লাইসেন্সের মেয়াদ রেখে এ সেবার নিলামের জন্য আবেদন গ্রহণ আগামী কাল ১৬ জুন শুরু হয়ে শেষ হবে ৩০ জুন। নিলাম অনুষ্ঠিত হবে ২১ সেপ্টেম্বর। গতকাল মঙ্গলবার এমএনপি সেবার রোডম্যাপ ঘোষণা উপলক্ষে রমনায় বিটিআরসি ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থার চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ। তিনি বলেন, চলতি বছরের শেষে গ্রাহকরা এমএনপি সেবা পাওয়া শুরু করবেন ।
গ্রাহকরা ৩০ টাকা চার্জ দিয়ে অপারেটর বদল করতে পারবেন, তবে ৯০ দিনের আগে অপারেটর পরিবর্তন করতে পারবেন না। নিলামে বাংলাদেশ কার্যক্রম পরিচালনাকারী কোনো মোবাইল ফোন অপারেটর অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছে বিটিআরসি।
সম্মেলনে জানানো হয়, এমএনপি সেবার জন্য সরকার একটি অপারেটরকে লাইসেন্স দেবে। গত ২ ডিসেম্বর এমএনপি নীতিমালায় অনুমোদন দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। এরপর স্বচ্ছতা আনতে নীতিমালায় বেশকিছু পরিবর্তনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমোদন শেষে নিলাম প্রক্রিয়ায় এলো বিটিআরসি। গত বছরের মাঝামাঝি নীতিমালা ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠানো হয়েছিল, গত সপ্তাহে অনুমোদন পেয়েছি।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আগ্রহী প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ টাকা ফি দিয়ে আবেদন করতে হবে, বিড আর্নেস্ট মানির পরিমাণ ১০ লাখ এবং লাইসেন্স ফি নিলামের মাধ্যমে নির্ধারিত হলেও ভিত্তি মূল্য হবে ১ কোটি টাকা। লাইসেন্সধারী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বার্ষিক ফি ২০ লাখ এবং ব্যাংক গ্যারান্টি বাবদ দিতে হবে ১ কোটি টাকা।
আর গ্রাহককে প্রতিবার পোর্টিং চার্জ দিতে হবে ৩০ টাকা এবং পোর্টিং সময় হবে সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টা। এ প্রসঙ্গে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী কোনো সেলুলার মোবাইল ফোন লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান অথবা তাদের মালিকানা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এমএনপি লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবে না। বাংলাদেশে বসবাসকারী যেকোনো ব্যক্তি বা প্রোপাইটরশিপ বা পার্টনারশিপ কোম্পানি এবং আরজেএসসির অন্তর্ভূক্ত যেকোনো কোম্পানি আবেদন করতে পারবে। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম