ভারতকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার বিলে ভোটাভুটি হলো না মার্কিন সিনেটে
্আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতকে ন্যাটো সদস্যদের সমান মর্যাদা দেওয়ার বিল আটকে গেল মার্কিন সংসদে। আমেরিকার ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট-এ (এনডিএএ) সংশোধনী এনে ভারতকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু সংশোধনীটি নিয়ে মার্কিন সিনেটে আলোচনা বা ভোটাভুটি আটকে গিয়েছে। ভারতকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার প্রক্রিয়া এভাবে আটকে যাওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মার্কিন সিনেটর জন ম্যাকেইন। আনন্দবাজার
ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোকে আমেরিকা যেসব অস্ত্রশস্ত্র এবং প্রযুক্তি সরবরাহ করতে পারে, অন্য কোনো দেশকে সামরিক ক্ষেত্রে আমেরিকা ততটা সাহায্য করতে পারে না। আমেরিকার নিজস্ব আইন এনডিএএ-তেই সেই প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। ভারতের সঙ্গে সামরিক সমঝোতার ক্ষেত্রে সেই বাধা কাটাতে চেয়েছিল ওবামা প্রশাসন। ন্যাটো সদস্যদের যে মর্যাদা দেওয়া হয়, এনডিএএ সংশোধন করে ভারতকেও সেই বিশেষ মর্যাদা দিতে চেয়েছিল আমেরিকা। তার জন্য মার্কিন সেনেটর জন ম্যাকেইন একটি সংশোধনী বিল আনেন। ডেমোক্র্যাটিক এবং রিপাবলিকান— দুদলেরই অনেক সেনেটর এই সংশোধনীর পক্ষে ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সংশোধনীটি পাশ হয়নি। ফলে ভারতকে এখনই নিজেদের ‘আন্তর্জাতিক কৌশলগত এবং সামরিক মিত্র’ হিসেবে মর্যাদা দিতে পারছে না আমেরিকা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেওয়ার পরদিনই সেনেটর জন ম্যাকেইন এনডিএএ-র সংশোধনী বিলটি সেনেটে পেশ করেছিলেন। তবে শুধুমাত্র এই একটি বিল নয়, বৈদেশিক সম্পর্ক সংক্রান্ত আরও বেশ কয়েকটি বিল ম্যাকেইন পেশ করেন। তার কোনোটিই এ দিন পাশ হয়নি।
ম্যাকেইন বিষয়টি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন। শুধুমাত্র ভারতের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত বিলটির কথা অবশ্য তিনি উচ্চারণ করেননি। তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি বিলের ব্যাপারে বিতর্ক বা ভোটাভুটি করতে পারল না সেনেট। এর জন্য আমি দুঃখিত। অধিকাংশ বিলেই দুই দলের সদস্যদেরই সমর্থন ছিল।
যেসব আফগান নাগরিক তালিবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় নিজেদের জীবনবাজি রেখে মার্কিন বাহিনীকে সাহায্য বা সমর্থন করেছিলেন, তাদের আরও বেশি করে আমেরিকায় আশ্রয় দিতে আফগানদের জন্য নির্দিষ্ট স্পেশ্যাল ইমিগ্রেশন ভিসার সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছিল একটি বিলে। সে বিলও সেনেটে পাস হয়নি।
কারো নাম না করলেও, অন্য এক সেনেটরের বিরুদ্ধে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন ম্যাকেইন। তিনি বলেন, এই গোটা প্রক্রিয়াটায় মাঝেমধ্যেই দেখা গিয়েছে যে একজন মাত্র সেনেটর আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত এই কাজকর্মকে সম্পূর্ণ থামিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন। এটা সেনেটের প্রথার সম্পূর্ণ বিরোধী এবং এর ফল খুব খারাপ হবে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ