দারিদ্র্যের কষাঘাতে কর্মবঞ্চিতরা করছে ভিক্ষা
এম.এস.সাগর, কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামে দারিদ্র্য জনগোষ্ঠী নারী-পুরুষরা কর্মবঞ্চিত নতুন করে কর্মের সুযোগ না পাওয়া ও বর্তমানে দ্রব্যমূল্যোর র্ঊ্ধ্বগতি সীমিত উপার্জন দিয়ে চলতে না পারায় অনেকেই বাধ্য হয়ে বেছে নিয়েছে ভিক্ষাবৃত্তি পেশা।
এদের মধ্যে অনেকে কোন না কোনভাবে প্রতিবন্ধী। কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর চিলমারী রৌমারী রাজিবপুর নাগেশ্বরী ভূরুঙ্গামারী ফুলবাড়ী রাজারহাট ও সদর কুড়িগ্রাম উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে বেশ কিছু ভিক্ষাবৃত্তির সাথে জড়িত নারী ও পুরুষদের চোখে পড়ে।
ইতি পূর্বেও ৯ উপজেলার হাট-বাজার, বাসা-বাড়িসমূহে হাতে গোনা কিছু ভিক্ষুকের দেখা মিলতো। বর্তমানে সংখ্যা বেড়ে হয়েছে অনেক। নারী ভিক্ষুকের সংখ্যাই বেশি।
ভিক্ষুক মফিজুল হক, আবুল কাশেমসহ অনেকে জানায়, বয়স বেশি হওয়ার কারণে কাজ পাওয়াই কঠিন। চাতাল হোটেল-রেস্তোরা, গৃহস্থ বাড়ির ঝিয়ের কাজসহ বিভিন্ন স্থানে শ্রম দিতাম। শ্রমের মুজুরি অত্যন্ত কম ও নানা কারণে কাজ হারিয়ে এ পেশায়। ভিক্ষুক আমেনা, মরিয়ম, আছিয়া জানায়, এলাকার কর্মস্থলে কাজ করে যে সামান্য মুজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে অগ্নিমূল্যের বাজারে কোন রকমেই কুলিয়ে উঠা যায় না। দিনব্যাপি ভিক্ষা করে চাল, ডাল, মরিচ, পেঁয়াজ-লবণসহ নগত এক থেকে দেড়শত টাকা আয় করা যায়। এদের মধ্যে ক্ষুধার জ্বালা সইতে না পেরে গার্মেন্ট, বাসা-বাড়ির কাজ করার জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পারি জমিয়েছে।
জেলার ৯ উপজেলায় এক সময় এক দেড় হাজার ভিক্ষুকও ছিল না বর্তমানে দারিদ্রের কষাঘাতে পিষ্ট, কর্মহারা, স্বজন হারা, স্বামী হারা পিতা-মাতা হারা প্রতিবন্ধী কয়েক হাজার নারী-পুরুষ মোটা কাপড় পরিধান ও মোটা ভাতে জীবন ধারণের জন্য হলেও ভিক্ষার মত আপত্তিজনক পেশা বেছে নিয়েছে।