ভারি বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : দুই দিনের ভারি বর্ষণে দেশের বিভিন্ন জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে বীজতলা, মৎস্যচাষিদের ছোট-বড় পুকুর ডুবে গিয়ে মাছ ভেসে যাওয়ায় ক্ষতি সাধিত হয়েছে অনেক টাকা। প্রচ- বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে শাক-সবজি। অনেক এলাকায় বর্ষণে রাস্তা ধসে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদগুলো তুলে ধরা হলোÑ
রফিকুল ইসলাম, গাইবান্ধা : গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ২ দিনের ভারী বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নিমজ্জিত হয়েছে পাট ক্ষেত বীজ তলা। শতাধিক পুকুরের মাছ বের হয়েছে। বর্ষণে পৌর এলাকার রাস্তা ধসে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়েছে তারাপুর ইউনিয়নবাসীর। চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের পাট ক্ষেতগুলোতে ৩/৪ ফুট পানি অবস্থান করছে। আগাম বর্ষালী ধান ক্ষেতগুলো নিমজ্জিত হয়েছে। পানিতে ডুবে যাওয়ায় শতাধিক পুকুরের মাছ বের হয়ে গেছে নি¤œাঞ্চলে। সবজি ক্ষেত ও আমন বীজতলা নিমজ্জিত হওয়ায় নষ্ট হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। বীজতলা, বর্ষালী, সবজি ক্ষেত ও পাট নিমজ্জিত হওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) : প্রবল বৃষ্টিপাতে কুড়িগ্রামের রাজারহাটের শতাধিক এলাকার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মৎস্যচাষিদের ৩ হাজার ছোট-বড় পুকুর ডুবে গিয়ে মাছ ভেসে যাওয়ায় প্রায় ১ কোটি টাকা ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ভেসে যাওয়া মাছ ধরার উৎসবে মেতে উঠেছে এলাকার মানুষ। এছাড়া তলিয়ে গেছে ২ হাজার হেক্টর আমন বীজতলা। প্রচ- বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে শাক-সবজি। রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল হাসেম ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
মো. আব্বাস উদ্দিন, ঝিনাইগাতী : শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বৃহস্পতিবার প্রবল বৃষ্টিপাত ও সীমান্তের ওপারে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের ফলে ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলা সদরসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল মহারশী, সোমেশ্বরী ও কালঘোষা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে উপজেলার বিভিন্ন অফিসসহ বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে গেছে। মহারশী নদীর রামেরকুড়া বাঁধ ভেঙ্গে সাব-রেজি. অফিস, পোষ্ট অফিস, নলকুড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস, যুব উন্নয়ন অফিস, উপজেলা ভূমি অফিস, মহিলা বিষয়ক অফিস, উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক তলিয়ে গেছে এবং উপজেলা পরিষদ চত্বরে পানি প্রবেশ করেছে।