জাসদ নিয়ে আ.লীগের সবাই এখন চুপ
দীপক চৌধুরী : জাসদকে জড়িয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্যের পর ছোটখাটো ঝড় উঠে গিয়েছিল রাজনীতিতে। কয়েকজন জাসদ নেতা ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুও রাজনীতির অতীত ও বর্তমান নিয়ে নিজের ও দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা ঐক্য আরও প্রসারিত করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন সংশ্লিষ্টদের। তবে আওয়ামী লীগ নেতাদের সবাই এখন চুপ।
দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতার সঙ্গে কথা বলে ধারণা পাওয়া গেছে, তারা এখন আর এ বিষয়ে কথা বাড়াতে চান না। বরং এ ধরনের মন্তব্য ১৪ দলীয় জোট ও আওয়ামী লীগের বর্তমান ঐক্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একজন সিনিয়র নেতা ও মন্ত্রী বলেন, এখন হঠাৎ করে এ মন্তব্য করার প্রয়োজন ছিল না। রাজনীতিতে ‘নীতিহীন’ বা ‘নীতিবিবর্জিত’ বিষয়ের অভাব নেই এদেশে। উদাহরণ দিতে গিয়ে ছাত্রলীগের সামনে ‘বক্তব্য’ রাখার সময় জাসদের রাজনীতি নিয়ে কথা না বলেও অনেক বিষয় নিয়ে উদাহরণ দেওয়া যেত।
আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর একজন সদস্য বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন করে চক্রান্ত শুরু হয় স্বাধীনতাপ্রাপ্তির কিছুদিন পর থেকেই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তা বুঝতে পেরেছিলেন, ধরতেও পেরেছিলেন। কিন্তু তিনি অসংখ্য বিষয় প্রকাশ করেননি। তাজউদ্দীন আহমদকে বঙ্গবন্ধু মন থেকে সরানোর পরিকল্পনা ছিল দলের অনেকের।
জাসদ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্যের পর ১৪ জুন ১৪ দলের বৈঠকে দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ছাত্রলীগের কর্মশালায় সৈয়দ আশরাফের দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে বলেন, ছাত্রলীগের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জ্ঞানদান করার জন্য নানা কর্মশালা করা হয়। হয়তো সেই প্রেক্ষাপটে অতীতের একটি ইতিহাস সম্পর্কে সৈয়দ আশরাফ সাহেব একটা কথা বলেছেন। আমরা সব অতীতকে জেনেই ঐক্য করেছি। আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই, ১৪ দলের মধ্যে কোনো বিভ্রান্তি নেই। সম্পাদনা : লিয়াকত আমিনী