১৪ বছরে ৫ হাজার ৩১৫ পুলিশ সদস্য আহত
আজাদ হোসেন সুমন : আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গত ১৪ বছরে পুলিশ বাহিনীর ৫ হাজার ৩১৫ সদস্য আহত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ২০১২ ও ২০১৩ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের নাশকতা ও চোরাগুপ্তা হামলায় পুলিশ আহত হওয়ার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
পুলিশ সদর দফতর থেকে সংগৃহিত এক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০০২ সালে ২৮১ জন, ২০০৩ সালে ২৭১ জন, ২০০৪ সালে ২৮০, ২০০৫ সালে ২৪০, ২০০৬-এ ৩৩৭, ২০০৭ সালে ২৭৮, ২০০৮-এ ২৯৬, ২০০৯-এ ৩৫৭, ২০১০ সালে ৪৭৩, ২০১১-এ ৫৮১, ২০১২-এ ৬৫৯, ২০১৩-এ ১২৫৭, ২০১৪-এ ৭০২ ও ২০১৫ সালে ৬২৯ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। অস্ত্র উদ্ধার ও দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার, বিবদমান দুুই সন্ত্রাসী গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধ, দুই গ্রামের সংঘর্ষ এবং রাজনৈতিক দলের আন্দোলন-কর্মসূচিতে উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীদের হামলাসহ বিভিন্নস্থানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা আহত হয়।
সূত্রমতে, প্রতিবছর আহত হওয়ার যে হার তাতে দেখা যায় সর্বোচ্চসংখ্যক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে ২০১৩ সালে এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যাটি ২০১৪ সালে।
জানা যায়, ২০১৩ সালে সরকারবিরোধী আন্দোলনে সুবিধা না করতে পেরে জামায়াত-বিএনপি জোট আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যায় এবং চোরাগুপ্তা হামলা শুরু করে। এ বেপরোয়া হামলার শিকার হয় ১ হাজার ২৫৭ জন পুলিশ সদস্য। এর মধ্যে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সরকার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দিলে বিএনপি-জামায়াত জোট এই নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়। তাদের হামলায় এ বছর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক (৭০২) পুলিশ সদস্য আহত হয়। এরপর সরকার ড্রাস্টিক অ্যাকশন পরিচালনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে গতকাল আইজিপি শহীদুল হক বলেন, পুলিশ আগে মার খেলেও অ্যাকশনে যেতে হিসাব-নিকাষ করত। কিন্তু স্ট্র্যাটেজি চেঞ্জ করে পুলিশও পাল্টা অ্যাকশনে যাওয়াতে রাজনৈতিক মদদপুষ্ট দুর্বৃত্তরা নিজেদের গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়। তিনি বলেন, বসে বসে মার খাওয়ার দিন শেষ হয়ে গেছে। কেউ আন্দোলনের নামে নাশকতামূলক তৎপরতা বা ভাঙচুর বা কোনো প্রকার অপতৎপরতায় লিপ্ত হলে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অ্যাকশনে যাবে এ নির্দেশ আগেই দেওয়া হয়েছে। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম