‘খালেদা জিয়ার বক্তব্য জঘন্য মিথ্যাচার’
দীপক চৌধুরী : টার্গেট কিলিংয়ে আওয়ামী লীগের লোকজন জড়িতÑ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যকে ‘জঘন্য মিথ্যাচার’ বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ১৪-দলীয় জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, এই বক্তব্যের মাধ্যমে খালেদা জিয়া খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক যৌথসভায় নাসিম এসব কথা বলেন।
গুপ্তহত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে ১৯ জুন ১৪-দলীয় জোটের মানববন্ধন সফল করতে ঢাকার মহানগরের উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, মহানগরের অন্তর্গত সাংসদ এবং বিভিন্ন পেশাজীবী নেতাদের সঙ্গে এই যৌথসভা করা হয়।
নাসিম বলেন, ১৪ দল একদিনের সংগঠন নয়, এটা আদর্শিক জোট। ক্ষমতার ভাগাভাগি বা শুধু নির্বাচন করার জন্য নয়। এই জোট একটি লক্ষ্য সামনে রেখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে, কাজ করে যাবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত লক্ষ্য অর্জিত না হবে, ততদিন কাজ করে যাবে।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, খালেদা জিয়া বলেছেন, আমরা নাকি টার্গেট কিলিং করছি। এত বড় জঘন্য মিথ্যাচার দুনিয়ার কেউ বিশ্বাস করে না। আমাদের টার্গেট হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসম্পন্ন বাংলাদেশ গড়ে তোলা, খালেদা জিয়ার হাত থেকে বাংলাদেশের জনগণকে রক্ষা করা। নাসিম বলেন, হতাশা থেকেই খালেদা জিয়া একের পর এক সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনে অংশ না নিয়ে তিনি সংসদ হারিয়েছেন। ভুল রাজনীতি করে রাজপথ হারিয়েছেন। জ্বালাও-পোড়াও করে আর যা হোক মানুষের সমর্থন পাওয়া যায় না।
টার্গেট কিলিংয়ে আওয়ামী লীগকে জড়ানোয় যৌথসভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ খালেদা জিয়াকে সন্ত্রাসীর রানি আখ্যা দেন। তিনি বলেন, সংযমের মাসে ইফতারের আগে এ রকম মিথ্যাচার আগে কেউ দেখেনি। খালেদা জিয়া হতাশাগ্রস্ত মানসিক রোগীর মতো কথা বলছেন।
আওয়ামী লীগের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশ পরিচালনা করছেন, তখন দেশকে অস্থিতিশীল করতে তিনি টার্গেট কিলিং করতে পারেন না। এ বিষয়টি খালেদা জিয়া আপনার বোধগম্য নয়। এই গুপ্তহত্যার মাধ্যমে আপনি আপনার রাজনীতির কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছেন।
যৌথসভায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন-অর রশীদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কামরুল হাসান খান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এ এস এম মাকসুদ কামাল, জাসদের (ইনু) সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আবু, চিত্রনায়ক ফারুক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ইকবাল আর্সলান, স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল প্রমুখ বক্তব্য দেন।