শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাংসদদের সভাপতি পদ বাতিলে সাংসদে ক্ষোভ
মাহমুদুল আলম : ক্ষমতাবলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংসদ সদস্যদের সভাপতি পদে না থাকার বিষয়ে রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। সংসদে এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোতাহার হোসেন।
তিনি বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতি আমরা থাকব না, থাকবে কি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাহেবরা? জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে গতকাল তিনি এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য বলেন, আমি ১ লাখ ৯২ হাজার ভোটারের প্রতিনিধি। তাহলে এই ১ লাখ ৯২ হাজার কি ভুল ভোট দিয়ে আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন? এখানে যারা আছেন সবাই কিন্তু ভোটের মাধ্যমে এসেছি। আমরা জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি। আমাদের চাইতে এলাকার উন্নয়ন আর কে ভালো চাইবে?
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইউএনওদের সভাপতিত্ব থাকাকালীন স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আমি উপজেলার চেয়ারম্যান থাকার সময় দেখেছি তখন মাদ্রাসাগুলোর সভাপতি ইউএনও। আর স্কুলের সভাপতি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান। আমরা ৫ বছরে যেভাবে স্কুল-কলেজের উন্নয়ন করলাম, আমার দৃষ্টিতে ৫ শতাংশ স্কুলেও ইউএনও সভাপতি থাকার সময় উন্নয়ন হয়নি। যার ফলে অনেকগুলো মাদ্রাসাই এখন মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে বেতন-ভাতা নিচ্ছে। এই পর্যন্তই। কিন্তু সেখানে কোনো ছাত্র-ছাত্রী নেই।
বক্তব্যে অন্যান্য বিভাগের মতো উত্তরবঙ্গে একটি মেগা প্রজেক্ট থাকা দরকার বলে দাবি করে তিনি বলেন, দেশের ৭টি বিভাগ রয়েছে। এরমধ্যে ১০টি মেগা প্রজেক্ট নেওয়া হলো। তাহলে উত্তরবঙ্গেও একটা প্রজেক্ট থাকা দরকার।
প্রস্তাবিত বাজেটে রংপুরে গ্যাস দেওয়ার ব্যাপারে কোন দিক-নির্দেশনা না থাকায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করে মোতাহার হোসেন। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি