জমে উঠেছে ঈদ বাজার
ডেস্ক রিপোর্ট : ঈদকে কেন্দ্র করে জমে উঠছে ঢাকার পোশাক বাজার ও ফ্যাশন হাউজগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়ও বাড়তে শুরু করেছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার গুলশান ডিএনসিসি মার্কেট, নিউমার্কেট, বসুন্ধরা শপিং মল, যমুনা ফিউচার পার্ক, আজিজ সুপার মার্কেট ও বঙ্গবাজারসহ বিভিন্ন বিপণিবিতান ঘুরে পোশাক দেখা আর বেচা-কেনার জমজমাট চিত্র দেখা গেছে। পরিবার, বন্ধু-স্বজনদের নিয়ে বাজারে এসেছেন অনেকে; ঘুরে ঘুরে পছন্দের পোশাক বাছাই এবং দরদাম করে কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন।
ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে সকালে নিউমার্কেটে আসেন সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা তারিক হোসেন। ছেলে-মেয়ের জন্য সালোয়ার-কামিজ, পাজামা-পাঞ্জাবি ও জুতা কিনে ফেরার পথে কথা হয় তার সঙ্গে।
তিনি বলেন, স্কুলপড়ুয়া এই দুজনের ঈদের কেনাকাটা আজকে সেরেছি। আমাদেরগুলো পরে কিনব।
দাম আগের তুলনায় একটু বেশি হওয়ার কথা জানিয়ে তারিক বলেন, ঈদ বাজারতো দাম একটু বেশি রাখবেই। দু-একশ টাকা বেশিতো কিছু না।
দুপুরের পর শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেটে গিয়ে পোশাকের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে।
ক্রেতা উপস্থিতি আশানুরূপ বলে স্বস্তি প্রকাশ করেন কে-ক্রাফট স্টলের ব্যবস্থাপক এম জিন্নাহ।
তিনি বলেন, মার্কেটে দোকানতো অনেক। মানুষ আসছে, দেখছে; ফিরছে পছন্দের পোশাক নিয়ে। ১১ রোজা পার হয়েছে। আবার আজকে ছুটির দিন। বিক্রিও বেশ ভালো।
কে-ক্রাফটে মেয়েদের সুতি, তাঁতসহ নানা ধরনের কাপড়ে বাহারি ডিজাইনের সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া এবং ছেলে-বড়দের পাঞ্জাবি পাওয়া যায় বলে জানান জিন্নাহ।
তিনি বলেন, শাহবাগের শো-রুমে মেয়েদের পোশাকের দাম ১২শ থেকে শুরু করে ৬ হাজার টাকা এবং ১ থেকে ৫ হাজার টাকায় ছেলেদের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। এই মার্কেটের অন্যান্য পোশাকের দোকানেও ক্রেতাদের ভিড় থাকলেও ‘ইজি’ নামের দোকানটিতে ক্রেতার পদচারণা ছিল তুলনামূলকভাবে বেশি। শিশুদের যাবতীয় পোশাক বিক্রি করে গুলশান ডিএনসিসি মার্কেটের রুপম ফ্যাশন। এখানকার বিক্রয়কর্মী সোহান জানান, শুক্রবার সকাল থেকেই ক্রেতাদের বেশ ভিড় পড়েছে। একই পরিস্থিতি দেখা গেছে ফার্মগেট হকার্স মার্কেটে। প্রধানত মেয়েদের পণ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে এই মার্কেটের দোকানগুলো। মেয়েদের জন্য এবার পটল কুমার, মিলন তিথি, ফ্যান্সি নামের বিভিন্ন নকশার থ্রি পিস রযেছে তাদের সংগ্রহে। হকার্স মার্কেটে তিনশ টাকা থেকে শুরু করে ১২০০ টাকার মধ্যে ক্রেতারা পছন্দের পোশাক কিনতে পারছেন বলে জানান আরেক দোকানি জহির উদ্দিন। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম