গ্রেফতারদের আদালতে তুলুন, না হয় মুক্তি দিন : এইচআরডব্লিউ
ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশে ‘সাঁড়াশি’ অভিযানে গ্রেফতারদের অপরাধমূলক কর্মকা-ের ‘বিশ্বাসযোগ্য’ প্রমাণসহ আদালতে হাজির করতে অথবা তাদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
জঙ্গি দমনে গত ১০ তারিখে অভিযান শুরু হওয়ার কয়েক দিনে ১১ হাজারের বেশি মানুষ গ্রেফতারের খবর প্রকাশের প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে অপরাধের যথাযথ প্রমাণ ছাড়া লোকজনকে ‘স্বেচ্ছাচারী কায়দায়’ গ্রেফতার বন্ধের দাবি জানায় সংস্থাটি।
এইচআরডব্লিউ বলছে, বাংলাদেশ সরকারের উচিত সেক্যুলার লেখক, সমকামী অধিকার কর্মী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার তদন্ত এবং অপরাধীদের শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করা।
‘এই ধরনের হত্যাকা- বন্ধ এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার দায় রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের। তবে তা অবশ্যই দেশের ফৌজদারি দ-বিধি ও আন্তর্জাতিক আইনের যথাযথ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে করতে হবে’ বলেছেন সংগঠনটির এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস।
এরপর ১০ জুন ভোর থেকে শুরু হয় পুলিশের সপ্তাহব্যাপী ‘সাঁড়াশি অভিযান’। সাত দিনে সন্দেহভাজন মোট ১৯৪ জঙ্গিকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
অভিযানের প্রথম চার দিন সন্দেহভাজন জঙ্গিসহ মোট ১১ হাজার ৩০৭ জনকে গ্রেফতারের তথ্য পুলিশ ১৪ জুন জানিয়েছিল। তবে পুরো অভিযানে মোট কতজনকে ধরা হয়েছে তা প্রকাশ করা হয়নি।
এ বিষয়ে পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল আহছান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জঙ্গিবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি ৬ থেকে ১৩ জুন অস্ত্র, মাদক, পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের আরেকটি ‘বিশেষ অভিযান’ চলে।
‘ওই চারদিন দুই অভিযানের তথ্য একসঙ্গে প্রকাশ করা হয়েছিল। ১৪ তারিখের পর শুধু জঙ্গি গ্রেফতারের তথ্য জানানো হয়েছে।’
অভিযানে হাজারও মানুষ গ্রেফতার নিয়ে সমালোচনার মধ্যে পুলিশ এ ব্যাখ্যা দিলেও এভাবে গ্রেফতারকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘দক্ষতার অভাব’ হিসেবে দেখছে এইচআরডব্লিউ।
‘ভয়াবহ ওই সব হামলায় ধীর গতির ও ‘আত্মতুষ্টিমূলক’ সাড়া দেওয়ার পর বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ তদন্ত করার কঠোর পরিশ্রমের দিকে না গিয়ে পুরনো অভ্যাস ‘সাধারণ সন্দেহভাজনদের’ ধরার দিকে গেছে বলেন অ্যাডামস।
গ্রেফতার কাউকে কাউকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ঘুষ চাওয়ার খবর গণমাধ্যমে এসেছে বলেও মানবাধিকার সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে। সূত্র : বিডি নিউজ