মডেল শৈলীর আত্মহত্যা বড় নায়িকা বানাতে চেয়েছিলেন অভি
সুজন কৈরী : মডেল কন্যা সিনহা ওরফে মাহাতারা রহমান শৈলীকে শোবিজের শাবানা, ববিতা কিংবা সুবর্ণার মতো সুপার স্টার বানাতে চেয়েছিলেন স্বামী অভিজিৎ ওরফে অভি। শৈলীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার একমাত্র আসামি অভি পুলিশি রিমান্ডে এ তথ্য জানিয়েছেন। বনানী থানা পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। অভি বর্তমানে দুদিনের রিমান্ডে বনানী থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
সূত্রমতে রিমা-ে অভি পুলিশকে জানিয়েছেন, শৈলীর সঙ্গে প্রেম করেই বিয়ে করেন অভি। অভি শৈলীর গৃহশিক্ষক থাকাকালীন সময়েই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর এক সন্তানের মা শৈলীকে নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। প্রায় তিন বছর পর মেয়ের দিকে তাকিয়ে অভি-শৈলীর সম্পর্ক মেনে নেয় তারা।
সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে অভির সঙ্গে শৈলীর সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিলো না। এটি শৈলীর পরিবারও জানতো। এ কারণে পরিবারের পক্ষ থেকে শৈলীকে অভিকে তালাক দেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
সূত্রে আরও জানা যায়, শৈলী ছিলেন প্রচন্ড উচ্চভিলাষী। তার বড় অভিনেত্রী হওয়ার প্রচন্ড ইচ্ছা ছিলো। মিডিয়াতে কাজ করে রাতারাতি যশ খ্যাতি অর্জন করে সুপার স্টার হতে চেয়েছিলেন। সেটাকেই পুঁজি করে অভি তার প্রতি হাত বাড়িয়েছিলো। শৈলীর এ ইচ্ছার সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাকে শাবানা- ববিতার মতো সারা কাপানো সুপার- স্টার বানাতে চেয়েছিলেন।
এদিকে শৈলীর পরিবার দাবি করেছে, একবার তাদের কাজীপাড়ার বাসাতেও সিনহাকে মারধর করেছেন অভি। কেন এভাবে মারধর করতেন অভি, এমন প্রশ্নের জবাবে শৈলীর মা সেলিনা রহমান জানান, মূলত অর্থ-সম্পত্তি দেখেই সিনহার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েছিল অভি। তার নির্দিষ্ট কোন আয় ছিল না। বিয়ের পর থেকে বিভিন্নভাবে সিনহার মাধ্যমে আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সংসার চালাতো অভি।
সেলিনা রহমান দাবি করেন, টাকার জন্যই আমার মেয়েকে দিয়ে মডেলিং করাতো। আমার মেয়ে মডেল হওয়ার কথা ছিল না। অভি তাকে লোভ দেখিয়ে এই পথে নামিয়েছে। সম্পাদনা: সৈয়দ নূর-ই-আলমৃ