ধামইরহাটে বেত শিল্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনা
আব্দুল আজিজ ম-ল, ধামইরহাট (নওগাঁ) : বরেন্দ্র অঞ্চল নওগাঁর ধামইরহাট বেত শিল্পের সম্ভাবনা উত্তরাঞ্চলে ইতিহাস ঐতিহ্যের একটি অংশ। এক সময় বেতের তৈরি ধামা থেকে ধামারহাট থেকে ধামইরহাট নামকরণ হয়েছে।
অথচ অবহেলা ও কর্ম পরিকলাপনার অভাবে ঐ শিল্প বিলুপ্ত হতে বসেছে। তারপরও জীবীকার প্রয়োজনে অনেকেই এখন শিল্পের পেশার ধুকে ধুকে টিকে আছে। সরকারি বে-সরকারি পৃষ্টপোষকতার অভাবে ও উৎপাদন মুখী পরিকল্পনার অভাবে এই পেশায় টিকে থাকতে হিমসিম খাচ্ছে স্থানীয় বেত শিল্পীরা। বরেন্দ্র অঞ্চলে ভাসমান রংপুর জেলার ডিমলা থানার ও ময়মনসিংহ জেলার এই অঞ্চলের মাহিসন্তোষ ঝপ ঝাড় কেটে আবাসিক ও ফসলের জমিতে পরিণত করেছে। আবারও বেত শিল্পীকে পুন:জাগরিত করার লক্ষ্যে বনবিট কর্মকর্তা লক্ষণচন্দ্র ভূমিকের সহযোগিতায় আলতাদিঘি শালবনসহ আত্রাই নদী ও ইসবপুর ছোট যমুনার চর অঞ্চলে বনবৃক্ষর বেতের পর্যাপ্ত চারা রোপন করেছে। আশা করা হাচ্ছে অল্প সময়ের মধ্যে পাবত্য রাঙ্গামাটির ন্যায় ধামইরহাটের বেত দেশ বিদেশে সরবরাহ করা যাবে। এক সময়ে বরেন্দ্র অঞ্চল ধামইরহাটে প্রকৃত নিয়মে গজে ওঠা মাহিসন্তোষ গড় এখন লোকালয়ে গড়ে ওঠেছে।
সম্প্রতি জঙ্গলে বেত দিয়ে তৈরি করা ব্যবহারিক সরজাম এই এলাকার চাহিদা পূরণ করে পাশ্ববর্তী এলাকাগুলোতে সরবরাহ করা হতো। অনেকেই এই পেশার উপর নির্ভর করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করত। এখন মানুষের চাহিদা ও ব্যবহারের মান পরিবর্তন ঘটেছে। বর্তমানে বেতের তৈরি সরঞ্জামের দখর করি নিচ্ছে মেলামাইন সামগ্রী। প্লাষ্টিক সামগ্রীর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে ক্রমেই এই শিল্পটি হারিয়ে যাচ্ছে।
বেত দিয়ে তৈরি এ অঞ্চলের পন্যগুলোর মধ্যে রয়েছে চেয়ার টেবিল দোলনা, মোড়া, আলনা, দাড়িপাল্লা, ধামাসহ পরিবারে আসবাবপত্র এবং বিলাশ সামগ্রী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় প্রয়োজনীয় পুজি পৃষ্টপোষকতা নানা সংকটের কারণেই এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত পরিবারগুলোর অধিংকাশ এ পেশা থেকে সরে গিয়ে অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়েছে। যারা এখন বেত শিল্পের পেশাকে ধরে রাখতে চাচ্ছে তারা মূলত পুজির অভাবে কাঙ্খিত উৎপাদনে সক্ষম হচ্ছে না। বেত শিল্পের সঙ্গে যারা আছেন তাদের আর্থিক প্রোনদনার আওয়াত আনলে এ শিল্পের সম্ভাবনা বিকাশিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীরা।