ফিরে আসো এরকম সাড়ে ৪০০ নিখোঁজের তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে
বিশ্বজিৎ দত্ত : পরিবার থেকে নিখোঁজ এমন ব্যক্তিদের খবর পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান। প্রধানমন্ত্রীর এ আহ্বানে অনেক সাড়া পাওয়া গেছে। গতকাল পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় সাড়ে ৪০০ ব্যক্তির নিখোঁজের খবর পেয়েছে পুলিশ বিভাগ। অন্যদিকে ২০১৩ সাল থেকে পরিবার থেকে নিখোঁজ এমন ব্যক্তিদের একটি তালিকা করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। আজ দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ তালিকাটি উপস্থাপন করা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যারা নিখোঁজ রয়েছেন তাদের খোঁজখবর করার চেষ্টা চলছে। আমাদের কাছে যেসব তথ্য রয়েছে সেগুলোও গুছানোর কাজ চলছে। তিনি বলেন, গুলশান হামলার সঙ্গে যারা জড়িত তারা আইএসের সঙ্গে জড়িত নয়। তারা বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরসংশ্লিষ্ট লোক। তাদের পারিবারিক পরিচিতিও এ বলয়ের মধ্যেই। আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে, এসব পরিবার বিষয়টি জানলেও তারা সন্তানদের আড়াল করেছেন। তবে গুলশান ও কিশোরগঞ্জের ঘটনার পর তাদের টনক নড়েছে। তারা এখন আমাদের পরিবারের নিখোঁজদের খবর জানাচ্ছেন। কতজন জানিয়েছেন জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ১০ জনের খবরতো র্যাবের কাছে আগেই জানিয়েছে পরিবারের লোকজন। এখন সংখ্যাটা অনেক বেশি। আইন-শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকের পর সংখ্যাটা হয়তো বলা যাবে। তবে এটি চলমান ইস্যু।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিখোঁজ ব্যক্তিদের সংবাদ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর জন্য আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি বলেন, তাদের ছবিসহ সরকারি উদ্যোগেই রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হবে। তাদের আহ্বান জানানো হবে ঘরে ফিরে আসার জন্য। এর আগে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ গুলশান হামলার পর নিখোঁজদের বিষয়ে জানানোর জন্য পরিবারের সদস্যদের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
নিখোঁজদের নিয়ে কাজ করছেন এমন একজন পুলিশ অফিসার জানান, ২০১৩ সাল থেকে নিখোঁজদের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এ সময়ই প্রথম আইএসের নামে খুন করা হয়। যারা খুন করে তাদের দু-একজনকে তখন গ্রেফতার কারার পর আইএসের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। কিন্তু তারা স্বীকার করে তারা আইএসের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছে। কোন শ্রেণির পরিবারের লোকজন নিখোঁজ মনে হয় এ প্রশ্নে তিনি বলেন, সব নিখোঁজ যে সন্ত্রাসী তা নয়। পুলিশের কাছে এ ধরনের নিখোঁজের তালিকা অনেক বড়। আমরা সবগুলো নিয়ে কাজ করছি না। আমরা উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত বা সম্পন্ন পরিবারের লোক তাদের দিকে নজর রাখছি। বিশেষ করে আইটি বিষয়ে শিক্ষিত, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বা বিশেষ কিছু মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের বিষয়টা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম