বন্ধু দেশগুলোকে ক্ষেপিয়ে তোলার উদ্দেশ্যেই জঙ্গিহামলা :এইচ টি ইমাম
নাসিমুজ্জামান সুমন : মসজিদের ইমাম, পুরোহিত, ভিক্ষু, যাজকসহ গত দেড় বছরে বাংলাদেশে একের পর এক অপ্রত্যাশিত ঘটনায় অর্ধশতাধিক মানুষকে টার্গেট কিলিং অথবা গুপ্তহত্যার শিকার হতে হয়েছে। এর মধ্যে সাম্প্রতিক যোগ হয়েছে গুলশানে রেস্টুরেন্টে দেশি-বিদেশিদের জিম্মি করে জঙ্গিদের হত্যাযজ্ঞ ও শোলাকিয়ায় ঈদের দিনে হামলা।
ছোট ছোট ঘটনা থেকে এভাবে জঙ্গি-সন্ত্রাসী হামলার এমন ব্যপ্তি কি চাপে ফেলেছে সরকারকে? কিভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে সরকার? বিশ্বজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি এসব ঘটনায় দেশের ভাবমূর্তি ফেরাতে সরকারের কি করণীয়?
দেশটিভিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম বলেন, গুপ্তহত্যা, টার্গেট কিলিং আর গুলশান ও শোলাকিয়ায় সর্বশেষ জঙ্গিহামলার মতো ঘটনার প্রভাব সরকার কাটিয়ে উঠতে পারবে।
এসব রুখতে দল আওয়ামী লীগকেই কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে এবং শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবেশী ও বন্ধু দেশগুলোকে ক্ষেপিয়ে তোলাই এসব ঘটনার উদ্দেশ্য বলে মনে করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘এখানে দলের ঝাঁপিয়ে পড়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলে আমি মনে করি। আওয়ামী লীগ যদি এভাবে মাঠে নেমে পড়ে এবং যাদের দেশাত্ববোধের চেতনা আছে, যারা স্বাধীনতার পক্ষে তারা ক্রমশই জেগে উঠছে। আমার মনে হয় এটাই আমাদের বড় রক্ষাকবচ। আমরা এদের (জঙ্গিগোষ্ঠী) পরাজিত করতে পারব।’
তার মতে, দেশকে অস্থিতিশীল, সরকারকে দুর্বল আর প্রতিবেশী ও বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করাই এমন জঙ্গি-সন্ত্রাসের মূল টার্গেট। আর দেশকে অকার্যকর প্রমাণে এমনটি তারাই যারা এখনও পাকিস্তানি ভাবধারা লালন করেন। সব তাদের ইন্ধনেই হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘সেই শক্তি আর কেউ নয়, যারা বরাবর বাংলাদেশের বিরোধিতা করে আসছে। স্বাধীনতার বিরোধিতা করে আসছে, তারা পাকিস্তানের পক্ষে। আর পাকিস্তান চালায় আইএসআই।’
এই আইএসআইয়ের বুদ্ধি, তাদের সমর্থন, তাদের অর্থ এবং সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক যে সন্ত্রাস সংগঠন আছে তাদের সঙ্গে মিলেমিশে তারা এ কাজগুলো করছে। এরা যেকোনো পর্যায়ে যেতে পারে বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা আরও বলেন, এমন সময় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকলকে সংঘবদ্ধ হয়ে মাঠে থাকতে হবে। একেবারে তৃণমূলপর্যায় পর্যন্ত কার্যকর করতে হবে সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি। এর সামাজিক-রাজনৈতিক গুরুত্ব হবে অনেক বেশি।
ঈদের পরে মন্ত্রিসভায় রদবদল হওয়ার মতো একটা ইঙ্গিত ছিল। সে প্রসঙ্গে এইচটি ইমাম বলেন, ‘তেমন সম্ভাবনা নেই, তবে এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই শেষ কথা।’ সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ