সব বন্দরে নিখোঁজদের তালিকা দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী : যেসব তরুণ ও কিশোর পরিবার থেকে স্বেচ্ছায় নিখোঁজ হয়েছেন তাদের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, শাহ আমানত বিমানবন্দরসহ দেশের সব বিমান ও স্থল বন্দরে নিখোঁজদের তালিকা পাঠানো হয়েছে। সেখানে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তাও। দেশের বিভিন্ন স্থাপনায় ফের হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কায় সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। নিখোঁজদের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি তাদের কেউ যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়িয়ে আবার দেশে ফিরতে না পারে সে সতর্কতাও রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নিখোঁজদের মধ্যে যারা তাদের পরিবারের কাছে ফিরে আসেনি, তাদের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। ওই সব ব্যক্তিদের নাম ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে নিখোঁজদের মধ্যে যারা ফিরে এসেছে তাদের কর্মকা-ের উপর নজরদারি করা হচ্ছে। তারা যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারে সেজন্যও নজরদারি করা হচ্ছে।
সূত্র আরও জানায়, বাংলাদেশের ভেতরেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে জঙ্গিদের। এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। এর হদিস পাওয়া গেলে সেগুলো ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবাইকে গ্রেফতার করা হবে। এই ব্যাপারে গোয়েন্দা অভিযানও চলছে।
ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে নিখোঁজদের ও নিখোঁজ থাকার পর যারা ফিরে এসেছে তাদের ছবি, নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, ঠিকানা, পাসপোর্ট নম্বরসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সরবরাহ করা হয়েছে। ওই নাম, ঠিকানা, পাসপোর্ট নম্বর কিংবা অন্য কোনো কিছু মিলে গেলেই তাদের দেশ ছাড়তে দেওয়া হবে না। পাশাপাশি এই ধরনের কেউ দেশ ত্যাগের চেষ্টা করছে ও ভেতরে এলে বিষয়টি তারা সঙ্গে সঙ্গে এসএস পাসপোর্ট বিভাগকেও জানাবে। প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, সম্প্রতি পর পর দুটি জঙ্গি হামলার পর অনেকেই বলেছেন জঙ্গিরা বিদেশে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে। তারা আইএস-এ যোগ দিয়েছে। কিন্তু এই ব্যাপারে এখনো প্রমাণ মিলেনি।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিখোঁজদের সন্ধান করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাদের কেউ যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে সেই ব্যাপারে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ সতর্ক রয়েছে। বিমাবন্দরে ও স্থল বন্দরে আমরা তাদের তালিকাও পাঠিয়ে দিয়েছি। তাই আশা করছি নিখোঁজদের এখন কেউ দেশ ছেড়ে পালাতে পারবে না। পাশাপাশি যারা নিখোঁজ রয়েছে তাদের কেউ বিদেশ থেকেও যদি দেশে ফিরে আসে তাহলেও তাদের বিমানবন্দরে কিংবা স্থলে বন্দরে যেখান দিয়ে প্রবেশ করবে সেখান থেকে আটক করা হবে। এছাড়াও এখনো নিখোঁজদের ব্যাপারে যেসব পরিবার থানায় জিডি করেনি তাদেরও জিডি করার জন্য বলা হচ্ছে। পুলিশকে তারা বিষয়টি না জানালে পরে এ নিয়ে ওই সব অভিভাবকরাও সমস্যায় পড়বেন। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি