ওরা যেভাবে লড়ে
রাশিদ রিয়াজ : জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হামলা এখন গ্লোবাল চ্যালেঞ্জ, এ নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ নেই। সন্দেহ রয়েছে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কে কিভাবে লড়ছেন। জঙ্গি বা সন্ত্রাসী হামলার জন্যে রাজনৈতিকভাবে পারস্পরিক দোষারোপ দীর্ঘদিনের।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটানে একজন সাদা পুলিশ অফিসার আরেকজন কৃষ্ণাঙ্গকে গুলি করে হত্যার পর এ নিয়ে বিক্ষোভে সন্ত্রাসী কায়দায় এক বন্দুকধারী পাঁচজন পুলিশ অফিসারকে গুলি করে হত্যা করে। মঙ্গলবার রাতে ম্যানহাটানে নিহত পুলিশ অফিসারদের স্মরণসভায় ভাষণ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ওই অনুষ্ঠানে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ও তার স্ত্রী লরা বুশ উপস্থিত ছিলেন। শুধু উপস্থিত ছিলেন না, বুশ যখন অনুষ্ঠানস্থলে আসেন তখন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে তিনি করমর্দন করেন। বুশের কাঁধে এসময় আস্থার হাত রাখেন মিশেল ওবামা। পাশাপাশি বুশ ও ওবামা দম্পতিকে শুধু বসে থাকতে দেখা যায়নি, এক পর্যায়ে বুশের হাতে হাত রাখেন মিশেল। যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশ হত্যার মত দুর্যোগের সময় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হয়েও প্রেসিডেন্ট দম্পতিদের এধরনের পারস্পরিক আস্থাপূর্ণ আচরণ জঙ্গি ও সন্ত্রাস হামলার চ্যালেঞ্জকে কত দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা মার্কিনীরা করতে চান তারই বহি:প্রকাশ যেন।
স্মরণসভায় আবেগপূর্ণ বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, তিনি এখনও তার দেশের ভবিষ্যৎ দেখেন। যখন তিনি দেখেন পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও বিক্ষোভকারীদের নিরাপত্তা দিচ্ছে সাদা পুলিশ। একটি কালো কিশোরকে গোলযোগপূর্ণ অবস্থা থেকে উদ্ধার করে যখন একজন সাদা পুলিশ তার বাড়িতে পৌঁছে দেয় তখন ওই কালো বালক, সাদা পুলিশটির মতই বড় হয়ে পুলিশ হতে চায়। বারাক ওবামা তার দেশে অস্ত্র আইন ও তা নিয়ন্ত্রণের সমালোচনা করে বলেন, অস্ত্র এত বেশি সহজলভ্য হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রে, যে একজন কিশোরের পক্ষে তা সংগ্রহ করা খুবই সহজ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানকে রক্ষাকবচ হিসাবে উল্লেখ করে বলেন, পুলিশের উপর এখনও তার দেশের নাগরিক অনেক নির্ভর ও আস্থা রাখে।
অনুষ্ঠানে ম্যানহাটান পুলিশ প্রধান ডেভিড ব্রাউন নিহত ৫ পুলিশ কর্মকর্তার স্মরণে স্টিভ ওয়ান্ডারের বিখ্যাত কবিতার পংক্তি উচ্চারণ করে বলেন,‘আনটিল দি রেইনবো বার্নস দি স্টারস আউট ইন দি স্কাই, আই উইল বি লাভিং ইউ’। ডেভিড ব্রাউন বলেন, সাধারণ মানুষকে রক্ষা করার জন্যে জীবন উৎসর্গের চেয়ে আর কোনো মহৎ ভালবাসা হতে পারে না। সিএনএন/ডেইলি মেইল থেকে