প্রিন্স হ্যারির এইডস পরীক্ষা!
রাশিদ রিয়াজ : ব্রিটেনে প্রিন্স হ্যারির রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। কারণ তার রক্তে এইচআইভি রয়েছে কি না তা যেকোনো নাগরিকের মতই রাজপরিবারের সদস্যদের জন্যেও নিশ্চিত হওয়া জরুরি। আর প্রিন্স হ্যারি সেই ছবি রাজপরিবারের ফেসবুক পেজে দিয়েও দিয়েছেন। তবে এক মিনিটেই প্রিন্স হ্যারির রক্ত পরীক্ষার ফলাফলে জানা গেছে তার শরীরে এইচআইভি নেই। লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালে এ পরীক্ষা হয়।
প্রিন্স হ্যারির আঙ্গুলের ডগা থেকে রক্ত নেওয়া হয়। তার এই পরীক্ষার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর ৫০ হাজার মানুষ তা দেখেছে। আদতে আপনি সাদা, কালো কিংবা সমকামী যাই হন না কেন এইচআইভি পরীক্ষা সবার জন্যেই জরুরি। এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতেই আসলে প্রিন্স হ্যারি এ পরীক্ষা করেছেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ৩১ বছর বয়সে হ্যারি তাই সানন্দে হাসপাতালে এসে সে পরীক্ষা সারলেন। অন্তত ৫ শতাধিক মানুষ এ সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন।
হাসপাতালে একজন চিকিৎসক প্রিন্স হ্যারিকে বলেন, রক্ত পরীক্ষার পর প্রথমে আমরা দেখি তা ‘রিঅ্যাক্টিভ’ না ‘নন-রিঅ্যাক্টিভ’। যদি তা রিঅ্যাক্টিভ হয় সঙ্গে সঙ্গে তা ল্যাবে পরীক্ষার জন্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে হ্যারি স্বীকার করেন, রক্ত পরীক্ষার আগে তিনি কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। বলেন, বিষয়টি মজার ও কিছুটা দুশ্চিন্তারও। লাখ লাখ মানুষের জন্যে এ পরীক্ষা যে জরুরি তা বিবেচনা করেই হ্যারি তার রক্ত পরীক্ষা করেন। ডেইলি মেইল