ঢাকা কারাগারে টাটকা খাবার যেন দিবাস্বপ্ন
বিপ্লব বিশ্বাস : কারাগারে কয়েদি আর বন্দিদের খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ নতুন নয়। তাছাড়া কারাগারের ভেতরে যেসব দোকান রয়েছে সেখানেও পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারি গুদাম থেকে সরবরাহ করা পণ্য দিয়েই কয়েদিদের খাবার তৈরি করা হয়। আর কারাগারের ভেতরের দোকানে পণ্য বিক্রি করা হয় দশ শতাংশ লাভে। যদিও একজন সাবেক ডিআইজি প্রিজন্স বলেন কারাগারের দোকানগুলোয় অতিরিক্ত দাম নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। ধারণক্ষমতা ২ হাজার ৮শ। আছে ৮ হাজারেরও বেশি। ফলে সব কিছুতেই টানাটানি। কারাবিধি মতে, টাটকা খাবার দিতে হবে কয়েদিদের। কিন্তু তা যেন একরকম দিবাস্বপ্ন। কারাগারের ভেতরে আসামিদের জন্য রান্না করেন কয়েদিরাই। তবে সুযোগ রয়েছে জেলের ভেতরে থাকা দোকান থেকে পণ্য কিনে আলাদাভাবে রান্না করার। কিন্তু সাধারণ বাজারের চেয়ে সে সব পণ্যের দাম রাখা হয় কয়েকগুণ বেশি। খাবার জন্য প্রতিদিন একজন কয়েদির জন্য বরাদ্দ ৫৩ টাকা আর সাধারণ বন্দির জন্য ৪৮ টাকা। এর মধ্যে কয়েদির জন্য আটা ১১৬.৬৪ গ্রাম ও সাধারণ বন্দির জন্য ৮৭.৪৮ গ্রাম। চাউল দেওয়া হয়, কয়েদির জন্য ৫৮৩.২০ গ্রাম আর সাধারণ বন্দির জন্য ৪৯৫.৭২ গ্রাম। এছাড়া অন্যান্য খাবার সবাইকে একই পরিমাণ দেওয়া হয়।
কারা মহাপরিদর্শক মেজর জেনারেল ইফতেখার উদ্দিন জানান, সরকারি গুদামের চাল-আটা দিয়ে তৈরি হয় খাবার। কারাগারের ভেতরে দোকানের পণ্যে ১০ শতাংশ লাভে বিক্রির নীতিমালা রয়েছে। আর অভিযোগ তদন্তে চলছে অডিট। তবে সাবেক ডিআইজি প্রিজন্সের মতে জেলের ভেতরের দোকান কোনো লাভজনক প্রতিষ্ঠান নয়। তাই এখানে খাবারের দাম মাত্রাতিরিক্ত রাখার সুযোগ নেই। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম