চাকরি নিয়ে ধূম্রজাল সন্তানদের সঙ্গেই সময় কাটছে এসপি বাবুলের
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : চাকরি নিয়ে ধূম্রজাল দেখা গেলেও স্বপদেই বহাল আছেন এবং পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত রয়েছেন বলে দাবি করেছেন এসপি বাবুল আক্তার। মেরাদিয়ার বাসায় দুই সন্তানকে নিয়েই সময় কাটছে তার।
এদিকে বাবুল আক্তারের চাকরি থাকছে না আবার আজ রোববার তিনি কাজে যোগাদান করবেন-এমন অনেক কথা শোনা গেলেও গতকাল শনিবার দুপুরে মুঠোফোনে তিনি বলেন, নতুন করে কাজে যোগদানের কোনো বিষয় নেই। এখনও আমি মানসিকভাবে কাজে যোগাদানের জন্য প্রস্তুত নই। তাছাড়া আমার চাকরির বিষয়ে পুলিশ সদর দফতরই সিদ্ধান্ত নেবে। যারা তার চাকরির বিষয়ে অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে বেড়াচ্ছেন তাদের সঠিক তথ্য জানার আহ্বান জানান তিনি।
অপরদিকে গত বৃহস্পতিবার পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক চট্টগ্রামে একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, বাবুল আক্তারের চাকরি এখনও আছে। তিনি বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকার কারণে তিনি চাকরিতে আসছেন না। পুলিশ হেডকোয়ার্টারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগও রাখছেন না তিনি।
বাবুল আক্তারের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু খুন হওয়ার পর থেকে বাবুল কর্মস্থলে যাননি। ঘটনার পর থেকেই বাবুল রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার মেরাদিয়ার ভূঁইয়াপাড়ার ২২০/এ নম্বর শ্বশুরের বাসায়ই থাকছেন। বাবুল তার দুই সন্তান আক্তার মাহমুদা মাহির (৮) ও তাবাসসুম তাজমিন টাপুরকে (৫) নিয়েই সময় কাটাচ্ছেন। তবে তিনি বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। সন্তানদের খেলার সাথী হয়ে থাকছেন। লেখাপড়া যাতে বিঘিœত না হয় সে জন্য ক্লাসের বই পড়াচ্ছেন। তাদের এখনও স্কুলে ভর্তি করা হয়নি। আরেকটু স্বাভাবিক হলেই স্কুলে ভর্তি করা হবে। ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং সেশন যাতে মিস না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। বাবুল নিয়মিত নামাজ এবং অবসর পেলেই বই পড়ছেন।
সূত্র জানায়, বাবুল আক্তারের চাকরি সরকারি ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর নির্ভর করছে। তিনি কর্মস্থলে ফিরবেন কি না তা এখনও নিশ্চিত হয়নি। তবে কর্মস্থলে ফেরা না ফেরা বাবুলের উপর নির্ভর করছে না। তিনি কর্মের মাধ্যমে অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তাকে নিয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত দেয় তা-ই তিনি মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন তার শ্বশুর মোশাররফ হোসেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ের অদূরে এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় বাবুল নিজেই বাদী হয়ে অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় ২৪ জুন রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবুলকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর আবার শ্বশুরবাড়িতে তাকে পৌঁছে দেওয়া হয়। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম