আর্থিক বিষয়টি দেখভাল করেন জামায়াত ঘরানার কয়েকজন ব্যবসায়ী মূল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা একাধিক!
গুলশানে হলি আর্টিজান হামলা
বিপ্লব বিশ্বাস : গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা একাধিক ব্যক্তি। এদের মধ্যে কেউ কেউ বিদেশে অবস্থান করছেন। আবার কেউ কেউ দেশেই আত্মগোপনে রয়েছেন। এদের সঙ্গে রয়েছেন আরও চার থেকে পাঁচজন রাজনৈতিক ব্যক্তি। হামলার আর্থিক বিষয়টি দেখভাল করেন বাংলাদেশের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন ব্যবসায়ী। যারা মূলত জামায়াত ঘরানার লোক। মূলত তারাই এ হামলায় মোটা অংকের টাকা ব্যয় করেছেন। গ্রেফতারকৃত বেশ কয়েকজন ব্যক্তির স্কীকারোক্তিতে এ সব তথ্য উঠে এসেছে বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে। শুধু তাই নয়, গুলশান বা অন্য কোথাও আগে থেকেই এ ধরনের হামলার ছক কষেছিল জামায়াত-শিবির। কিন্তু এককভাবে দোষ ঘারে পড়বে ভেবে তারা জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে এ হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, গুলশান হামলার ঘটনায় যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। আমরা গুলশান হামলায় জড়িতদের অর্থের জোগান ও রুট খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে, হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গিহামলায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা উদঘাটন করতে পেরেছি কেন এই হামলা হয়েছে, কারা এতে জড়িত? হামলায় জড়িত এবং মূল হোতাদের গ্রেফতার করা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তিনি আরও বলেন, এ হামলার আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের খুঁজে বের করা হবে।
গোয়েন্দাদের একটি সূত্র জানায়, গুলশান হামলার পর আইএস নাম ব্যবহার করে যে দায় স্বীকার করা হয়েছে। তা আসলে আইএস নয়। এটা আসলে শিবিরের নেতৃত্বে দেশীয় জেএমবি, আনসারুল্লাহ বাংলাটিম ও হিযবুত তাহরীর সদস্যরা হামলা চালিয়ে তারাই ওই নামটি ব্যবহার করে। ইতোমধ্যে তাও শনাক্ত করা হয়েছে। সূত্রটি আরও জানিয়েছে, এই জঙ্গিগোষ্ঠী চেয়েছিল এই হামলা হলে সরকারের পতন হবেই। শতভাগ নিশ্চিত থেকেই তারা এ বিশাল পরিকল্পনা করে। তাদের ধারণা ছিল, হামলার পরপর বিদেশের কাছে শেখ হাসিনা সরকারের গ্রহণযোগ্যতা কমে আসবে। পাশাপাশি দেশজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়া হবে অস্থিরতা। শুরু হবে বিশৃঙ্খলা। বিদেশিরা ফিরিয়ে নিবে তাদের সহায়তার হাত। বর্তমানেও এই চক্রটি সক্রিয় থেকে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। যা ঢাকা মহানগরের পুলিশ কমিশনারও স্বীকার করেছেন। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম