থানা হেফাজতে বৃদ্ধ আসামির আত্মহত্যা
মবিনুর রহমান : রাজধানীর আদাবর থানা হাজতে আব্দুল মান্নান নামে ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধ আসামি আত্মহত্যা করেছেন। মৃত ওই বৃদ্ধ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে দায়ের করা একটি মামলার আসামি ছিলেন। গতকাল রোববার ভোররাতের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের তেজগাঁও জোনের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার জানান, গত শনিবার রাতে আসামি আব্দুল মান্নানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে রাখা হয় থানার হাজত খানায়। গতকাল ভোর রাতের দিকে ওই আসামি তার পরিহিত পাঞ্জাবি হাজতের গ্রীলের সঙ্গে পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। বিষয়টি থানার ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার (সিসিটিভি) ফুটেজে ধরা পড়েছে। তবে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি বলে জানান এ কর্মকর্তা।
আদাবর থানার ওসি শেখ শাহীনুর রহমান জানান, চৌদ্দ বছরের স্কুল পড়–য়া নাতনিকে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে আটকের পর থানায় নিয়ে আসে। লজ্জা ও অনুশোচনায় তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান,গত শনিবার বিকালে আব্দুল মান্নানের নাতনি ধর্ষণের শিকার হন। এ বিষয়ে স্থানীয় এক যুবকের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি অভিযোগ করা হয়। পরে পুলিশ ওই যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু সে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে। এরপর পুলিশ ভুক্তভোগী শিশুটির সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে তার দাদু আব্দুল মান্নান তাকে ধর্ষণ করেছে। পরে আব্দুল মান্নানকে আটক করে থানা হাজতে রাখা হয়। এরপর মান্নান গতকাল ভোরে গলায় পাঞ্জাবি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। মৃত মান্নানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
জানা গেছে, আব্দুল মান্নান পরিবার নিয়ে আদাবরের মেহেদীবাগের ১ নম্বর রোডের জসিম ম্যানেজারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। একই বাসায় থাকতেন তার ছেলে, ছেলের বউ ও ১৪ বছর বয়সী নাতনি। তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি