রাজবধূ কেট মিডলটনের বিড়ম্বনা
লিহান লিমা : ব্রিটিশ রাজপরিবারের ইতিহাস, জৌলুস এবং ক্ষমতায় মুগ্ধ গোটা বিশ্ব। সেই প্রেক্ষিতে সাধারণ এক তরুণী হয়েও প্রিন্স উইলিয়ামকে বিয়ে করে ব্রিটিশ রাজবধূ কেট মিডলটন (৩৪) নজর কাড়েন ‘১০০ ক্ষমতাশীল ব্যক্তিত্ব’ ও বিশ্ব মিডিয়ার। আবার রাজপরিবারের জৌলুসের সাথে বারবার সমালোচনার শিকার হয়েছেন এ আকর্ষণীয়া নারী। তার কয়েকটি নমুনা দেওয়া হলো।
১. ক্ষুব্ধ রাণী এলিজাবেথ : ২০১২ সালে ফ্রান্সে প্রিন্স উইলিয়ামের সাথে অবকাশ যাপনে গিয়ে নগ্ন ছবি প্রকাশ পাওয়ায় বিব্রত হয়েছেন তিনি। রাজপরিবারের অনুরোধে ফ্রান্সের আদালত ছবি প্রকাশ করতে নিষিদ্ধ করলেও এ ঘটনায় অনেক মর্মাহত হয়েছেন প্রিন্স উইলিয়ামের দাদিমা প্রিন্স এলিজাবেথ। রাডার অনলাইন
২. রাজবধূর মিথ্যাচার : কিংসটন প্যালেসের ব্যয় নিয়ে মিডলটনের মিথ্যাচার অনেক আঘাত দিয়েছে রাজপরিবার ও ব্রিটিশ নাগরিকদের। এক প্রতিবেদনে জানা যায়, তিনি কিংসটন প্যালেস সাজাতে ৫.৯ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছিলেন।
৩. অতিরিক্ত ব্যয় : কেট-উইলিয়াম জুটিকে রানী ‘আনমার হল’ উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা এটি সাজাতে-গোছাতে ২ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেন। এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, একটি টেনিস কোর্ট সরাতে তারা খরচ করেছিলেন ৭৯ হাজার ডলার।
৫. রাজভাষা সম্পর্কে অনভিজ্ঞ : মিডলটনের বাচনভঙ্গি নাকি মোটেও রাজসিক নয়। বিয়ের আগে খুব সাধারণ এক তরুণী থাকায় এ সম্পর্কে অনভিজ্ঞ তিনি। তাই বিয়ের পর এ ব্রিটিশ রাজবধূর ভাষা শিক্ষার জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কোচ। ‘ডিউক অব ডাচেস’কে ভাষার সর্বোৎকৃষ্ট ব্যবহার শেখাচ্ছেন প্রিন্সের ভাতিজা এবং সাবেক টিভি প্রযোজক এন্টনি গর্ডন লেনক্স।
৬. কেট-উইলিয়াম জুটির বিলাসিতা : প্রিন্স উইলিয়াম এবং কেট মিডলটন তাদের কিংসটন প্যালেস থেকে আনমার হলে আসতে ৪৫ মিনিটের যাত্রার জন্য ১০ মিলিয়নের একটি হেলিকপ্টার ব্যবহারের জন্য সমালোচিত হন।
৭. অলস মিডলটন : ডাচেসের ‘কুঁড়ে’ বদনাম আছে। বলা হয় তিনি অতিরিক্ত অলস।
৮. রাজরক্তের কাছে মাথা নোয়ানো : বৈবাহিকসূত্রে রাজপরিবারে সদস্য হলেও জন্মসূত্রে রাজ বংশের নন কেট মিডলটন। তাই তাকে মাথা নত করে সম্মান জানাতে হবে রাজবংশোদ্ভূতদের। সম্প্রতি রানী এলিজাবেথ তার জন্য কড়া নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন, ‘তাকে অবশ্যই রাজকীয় নিয়ম মেনে চলতে হবে’। এমনকি প্রিন্সেস বিয়ত্রিন (২৭) এবং ইউজেনি (২৬)কে প্রকাশ্যে এবং ব্যক্তিগতভাবে সম্মান জানাতে হবে তাকে। তবে প্রিন্স উইলিয়ামের সাথে থাকলে নিয়ম-কানুন শিথিল হবে রাজবধূর ক্ষেত্রে।
৯. জনসংযোগের অভাব : জনসংযোগে পারদর্শী নয় বলে সমালোচিত হয়েছেন কেট। প্রিন্সেস শার্লটের জন্ম দেওয়ার আগে মাতৃত্বকালীন ছুটি নেন তিনি। ২০১৫ সালে তিনি মাত্র ৬২ জনের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন যেখানে রানী এলিজাবেথ জনসংযোগ করেছেন ৩৪০ জনের সাথে।
১০. ‘মিডলক্লাস’ মিডলটন : ফ্যাশনে মিডলটনের মধ্য দৈর্ঘ্যরে স্কার্ট এবং কম উচ্চতার জুতোর কারণে ‘মিডলক্লাস’ বদনাম আছে মিডলটনের। অভিযোগ রয়েছে তার ফ্যাশন রাজপরিবারের অভিজাত্যের সাথে যায় না।
১২. রাজপরিবার দ্বারা লাঞ্ছিত : স্বয়ং কেট মিডলটন অভিযোগ তুলেছেন তিনি নাকি রাজপরিবার দ্বারা বারবার লাঞ্ছিত হয়েছেন। তিনি বলেন, পরিবারের সবাই আমাকে বলে আমি নাকি চ্যাটিংয়ে অনেক সময় ব্যয় করি, আমি খুব কম জানি এবং আমার উপদেশ গ্রহণ করার ক্ষমতা কম।
১৩. রূপের রহস্য : মিডলটনের মেকআপ আর্টিস্ট আরবিলা প্রেস্টন বলেন, মিডলটন তার রূপচর্চায় ১০০ ভাগ প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করেন। তিনি বিভিন্ন বীজের তেল ম্যাসাজ করেন এবং গ্রিন টি-এর মতো কিছু ভালো পানীয় ও খাবার গ্রহণ করেন, তিনি বিভিন্ন ধরনের বীজ এবং ডালিম তার খাবার তালিকায় রাখেন। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ