চারশ কোটি টাকার বিলাসবহুল গাড়ির সন্ধান মিলছে না
বিপ্লব বিশ্বাস : দেশে পর্যটন সুবিধার আওতায় আনা কোটি কোটি টাকার বিলাসবহুল গাড়ি এখন লাপাত্তা। শুল্ক গোয়েন্দার নজরদারিতে প্রায় চারশ কোটি টাকার গাড়ির সন্ধান মিলছে না। গোয়েন্দারা হন্যে হয়ে খুঁজছেন এসব গাড়ি। এ পর্যন্ত পাঁচটি দামি বিলাসবহুল গাড়িসহ সারাদেশে ২২টি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। এই আইনের অপব্যবহারের প্রবণতা বাড়ায় ২০১২ সালে আইনটি বিলুপ্ত করা হয়। প্রবাসী নেতারাও প্রবাসীদের এই অবৈধ কাজকে সমর্থন করছেন না। ১৯৫৪ সালের কাস্টমস কনভেনশনের আওতায় ‘কার্নেট দ্যা প্যাসেজ’ নামে আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে ৪৮টি দেশের বাসিন্দারা এক দেশ থেকে অন্য দেশে বেড়াতে গেলে এক বছরের জন্য সাথে বিনা শুল্কে গাড়ি নিতে পারতেন। ১৯৯২ সালে এই আইনের ত্রুটি বিচ্যুতি সংশোধন করার পর পর্যটকদের জন্য গাড়িসহ ভ্রমণের সুবিধা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এতে বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীদের মাঝে এদেশে দামি দামি গাড়ি এনে অবৈধভাবে ব্যবসা ও ব্যবহার বেড়ে যায়। গাড়ির মালিকরা নির্দিষ্ট সময়ের পর গাড়ি সে দেশে না নিয়ে অবৈধভাবে ভুয়া নম্বর প্লেট লাগিয়ে ব্যবহার করে থাকেন। যা কোনোভাবে সমর্থনযোগ্য নয় বলে জানালেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী কমিউনিটি নেতা হাজী মো. আবদুল আহাদ।
তবে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) এর অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলছেন, শুল্ক বিভাগের মাধ্যমে বিভিন্ন সড়ক ও নৌপথে এদেশে গাড়িগুলো প্রবেশ করছে। তাদের সহযোগিতা ছাড়া এই গাড়ি উদ্ধার করা সম্ভব নয়।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের হিসাবে ‘কার্নেট দ্যা প্যাসেজ’ আইনের আওতায় এদেশে তিনশ বিলাসবহুল গাড়ি প্রবেশ করে। যার মধ্যে ১৬৯টি গাড়ি অবৈধভাবে রয়ে গেছে। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম