পদ্মা সেতু থেকে কুয়াকাটা রেলওয়ে লিংক পর্যন্ত এবং পায়রা বন্দরে বিনিয়োগে আগ্রহী যুক্তরাজ্য
দীপক চৌধুরী : বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিমাণ আরও বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করে যুক্তরাজ্য পদ্মা সেতু থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত রেলওয়ে লিংক এবং পায়রা বন্দরে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার আলিসন ব্ল্যাক গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাতকালে এক বৈঠকে এ বক্তব্য দেন। বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান। তিনি বলেন, হাইকমিশনার আলিসন ব্ল্যাক এ বৈঠকে উল্লেখ করেন, ‘যুক্তরাজ্য ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে এলেও বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য এবং বিনিয়েগের ক্ষেত্রে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। বাণিজ্য ও উন্নয়নে যুক্তরাজ্যের প্রদত্ত সাহায্য ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। এছাড়াও যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের বাংলাদেশে যাতায়াত এবং বাণিজ্য-বিনিয়োগ স্বাভাবিক থাকবে। তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিদেশিদের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে। সেখানে যুক্তরাজ্যকে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে। যুক্তরাজ্য এখানে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের ভালো বন্ধু। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি করবে। বাংলাদেশ যেভাবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, তাতে যুক্তরাজ্য সন্তুষ্ট।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য, উন্নয়ন সহযোগিতা ও বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে। যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে না থাকলেও বাংলাদেশকে প্রদত্ত ব্যবসায়িক সহযোগিতার কোনো ঘাটতি হবে না বা বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের বাণিজ্যনীতির পরিবর্তন আসবে না।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে যেমন বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিল, তেমনি ঐক্যবদ্ধ বাঙালি জাতি সন্ত্রাস নির্মূল করবে। বিমান বন্দরসহ সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, সন্ত্রাসীদের স্থান বাংলার মাটিতে হবে না। বাংলাদেশ আজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সকল বাধা অতিক্রম করে এগিয়েই যাবে এদেশ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শুভাষীশ বসু এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) জহির উদ্দিন আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পদ্মার ওপারে শিবচরে সরকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সেখানে জাপান এবং দাতা সংস্থা জাইকা বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।