স্কুলছাত্র সজলকে হত্যা করে হিন্দু পরিবারের নিখোঁজ নাটক
মোস্তাফিজার রহমান বাবলু, রংপুর : হিন্দু পরিবারের ৮ জন নিখোঁজের ১১ দিন পর রংপুরে ভুরারঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সজলের মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার সদ্যপুস্করনী ইউনিয়নের ভুরারঘাট এলাকার এক সেফটিক ট্যাংকের নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। সজল ওই এলাকার ধীরেন চন্দ্রের ছেলে। কোতোয়ালি থানা পুলিশের ওসি এবিএম জাহিদুল ইসলাম জানান, সজল ওরফে সবুজ নিখোঁজ হয়েছে ২৬ জুলাই সকালে। সে নিখোঁজ হওয়ার পরপরই তার বাবা ধীরেন চন্দ্র কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করেন।
এদিকে, সজল নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর ২৭ জুলাই ওই গ্রামের মৃত সহোদর মদকের ছেলে শংকর মদক (৪৫), তার ভাই পরী মদক (৩৮), শংকরের স্ত্রী জলেশ্বরী (৪০), তার ছেলে দীপ্ত (১৫) ও দিপু (১২), পরীর স্ত্রী স্বরস্বতি (৩০) ও তার ছেলে অপু (৫) সহ সকলেই নিখোঁজ হয়। এ নিয়ে হিন্দু পরিবারের ৮ জন ভারতে নাকি নিখোঁজ! শিরোনামের সংবাদটি শুক্রবার সকালে আমাদের অর্থনীতি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়ে পাঠকের হাতে পৌঁছার দিনই নিখোঁজ সজলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শংকরের বাড়ি থেকে তার মা যমুনা রানি (৬৫), প্রতিবেশী জোস্না রানি ও নগরীর টার্মিনাল এলাকা থেকে শংকরের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী স্বরস্বতিকে আটক করে পুলিশ। ওসি আরও জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে। সন্দেহভাজনদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছে পুলিশ।
সজলের মা সোহাগী জানান, শংকর ও তার পরিবারের লোকজন তার ছেলেকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় তিনি ছেলে হত্যার বিচার চায়। সজলের বাবা ধীরেন চন্দ্র জানান, প্রতিবেশী শংকরের ছেলে দীপ্তের সঙ্গে সজলের ঘনিষ্ঠতা ছিল। দীপ্তের সঙ্গে কোনো ঘটনার বিরোধের জের ধরে শংকরের পরিবারের লোকজন সজলকে হত্যা করে বলে তিনি মনে করেন। সম্পাদনা : প্রিয়াংকা