রামপাল প্রকল্পে সুন্দরবন ক্ষতি হবে না : ড. মশিউর রহমান
ফারহান ফারুক : রামপাল প্রকল্পে সুন্দরবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। গতকাল শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘ইস্যুজ অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস অব ফাইন্যান্সিয়াল ক্লোজার অব লার্জ অ্যান্ড মেগা পাওয়ার প্রজেক্ট’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিবেশগত ঝুঁকি থাকলে তা আরও সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। তবে পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ থাকলে তা পুনরায় বিবেচনা করা দরকার বলে মনে করেন তিনি। রামপাল নিয়ে এখন অনেক বিতর্ক হচ্ছে। এটা সঠিক কারণে হতে পারে, বেঠিক কারণেও হতে পারে। কিন্তু আমি অনেক দিন ধরেই সেখানে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বড় সমর্থক ছিলাম।
রামপাল প্রকল্পের সমর্থনের কারণ হিসেবে মসিউর বলেন, খুলনা অঞ্চলে একসময় অনেক পাটশিল্প ছিল। কিন্তু এখন খুলনা শিল্পহীন হয়ে পড়ছে। খুলনা ও যশোরের মধ্যে ৬০ কিলোমিটার রাস্তার পাশে অনেক মাঝারি কল-কারখানা রয়েছে। গ্যাস-বিদ্যুতের অভাবে এসব কারখানার উৎপাদন ক্ষমতার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের বেশি ব্যবহার করতে পারে না। এসব কারখানায় বিদ্যুৎ-গ্যাস দেওয়া গেলে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের অতিরিক্ত বিনিয়োগ ছাড়াই উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, বিদ্যুতের বড় ও মেগা প্রকল্পে অর্থায়ন একটি অন্যতম ইস্যু। যা দীর্ঘমেয়াদি বন্ড ও ইক্যুইটির মাধ্যমে সংগ্রহ করা যেতে পারে। এছাড়া এ প্রকল্প সফল হতে প্রযুক্তিও অন্যতম মাধ্যম।
অনুষ্ঠানে রামপাল নিয়ে কথা বলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সাবেক সচিব এম ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, রামপাল প্রকল্পের মাধ্যমে জ্বালানি খাতে সহায়তার পরিবর্তে অহেতুক বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। তাই এটি সরিয়ে নেওয়া উচিত।
অন্যদিকে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সুন্দরবনের ক্ষতি করবে না। এ বিষয়ে ভালো সমীক্ষা আমাদের রয়েছে। সুন্দরবন দেশের ১৬ কোটি মানুষের সম্পদ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটির ক্ষতি হয় কিনা তা দেখা সরকারের দায়িত্ব।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব তারিক-উল ইসলাম, ডিসিসিআই সভাপতি হোসাইন খালেদ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক সচিব ফাওজুল কবির খান। সম্পাদনা : আ. হাকিম