আরসিবিসি’র সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক দেগুইতো জামিনে মুক্ত
আমির পারভেজ : জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতো। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় করা এক মামলায় গত বুধবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর স্থানীয় সময় বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে তিনি মুক্তি পান। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ফিলিপাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনকোয়ারার।
মায়া সান্তোস দেগুইতোকে জামিনে মুক্তির রায় দেন পাসেই মেট্রোপলিটন ট্রায়াল কোর্টের বিচারক রেমিবিয়েল মন্ডিয়া। মুক্তির আগ পর্যন্ত তিনি মাকাতি’র পুলিশ দফতরের ডিটেনশন সেলে আটক ছিলেন।
ফিলিপাইনের মাকাতি শহরে আরসিবিসি’র জুপিটার স্ট্রিট শাখার ব্যবস্থাপক ছিলেন মায়া সান্তোস দেগুইতো। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় প্রথম দিকেই নাম এসেছিল আরসিবিসি ব্যাংকের। ওই ঘটনায় ব্যাংকের নিয়ম ভঙ্গ করে ভুয়া নথি তৈরিতে জড়িত থাকার অভিযোগে একটি মামলা করেন আরসিবিসির সাবেক প্রেসিডেন্ট লরেঞ্জ তান।
মায়া সান্তোস দেগুইতো’র বিরুদ্ধে হ্যাকিং-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির পর পাচারের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। এই অভিযোগে গত মার্চে আরেক সহকর্মীসহ মায়া সান্তোস দেগুইতোকে ওই ব্যাংক থেকে বরখাস্ত করা হয়।
এর আগে দিগুইতোর আইনজীবী অভিযোগ করেছিলেন, আরসিবিসির সাবেক প্রেসিডেন্ট লরেঞ্জ তানের নির্দেশেই তিনি অর্থ উত্তোলনের ব্যবস্থা করেছিলেন। আরেক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, ওই অর্থপাচারের ঘটনার সন্দেহভাজন কিম অং ব্যাংক প্রেসিডেন্ট লরেঞ্জো তানের বন্ধু। কিম অং-এর সুপারিশক্রমে দিগুইতো ওই চার সন্দেহভাজন মাইকেল ফ্রান্সিসকো ক্রুজ, জেসি ক্রিস্টোফার লাগরোসাস, এনরিকো তেওদোরো ভাসকুয়েজ এবং আলফ্রেড সান্তোস ভারগারাকে অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দেন। ব্যবসায়ী উইলিয়াম সো গোর অ্যাকাউন্টের রেফারেন্স হিসেবেও ছিলেন কিম অং। ওই অ্যাকাউন্টগুলোর মাধ্যমেই ৮১ মিলিয়ন ডলার পাচার করা হয়।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওই অ্যাকাউন্টগুলোতে আর কোনও লেনদেন হয়নি। ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেম হ্যাকড করে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে হ্যাকাররা ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ চুরি করে ওই অ্যাকাউন্টগুলোতে স্থানান্তর করে। সেখান থেকে ওই অর্থ ফিলিপিনো পেসোতে রূপান্তরের পর দুটি ক্যাসিনোতে পাঠানো হয়। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ