মোট সম্পদের ৯০ ভাগ ৫৫ লাখ উচ্চবিত্তের দখলে
সারীফা রিমু : দেশে এখনো অতি দরিদ্র পৌনে ২ কোটি মানুষ যারা ঠিকমতো খেতে পায় না। আর ৪ কোটি মানুষ বাস করে দরিদ্রসীমার নিচে। অন্যদিকে বৈষম্যের প্রকট চিত্রে দেখা যায় মোট সম্পদের ৯০ ভাগ রয়েছে ৫৫ লাখ উচ্চবিত্তের দখলে। ধনীদের অনেকেই আবার দেশ থেকে উপার্জিত মাত্রা অতিরিক্ত অর্থ বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। সূত্র: যমুনা টিভি
এ অবস্থায় জঙ্গিবাদ ও রাজনৈতিক অস্থিরতা দীর্ঘস্থায়ী হলে অর্থ পাচার প্রবণতা আরও বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। যদিও জঙ্গিবাদকে শুধু দেশের নয় বরং বৈশ্বিক সমস্যা বলে চিহ্নিত করেছেন তারা। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার মাধ্যমে উন্নত বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত করলে দেশের অর্থ দেশেই রাখা যাবে বলে জানান ব্যবসায়ী নেতা ও অর্থনীতিবিদরা।
শুধু খাতাপত্রের হিসেবেই দেখা যায় ২০০৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এই ১০ বছরে বিদেশে পাচার হয়েছে সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকা। মূলত ধনীদের উপার্জিত বিপুল অপ্রদর্শিত অর্থই ওভার ইনভয়েসিং,আন্ডার ইনভয়েসিং, অফশো’র ব্যাংকিং, হুন্ডি, সেকেন্ড হোমসহ নানা অপকৌশলে পাচার হয়ে যাচ্ছে সেভ হেভেনগুলোতে।
এবিষয়ে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড.আব্দুল মজিদ বলেন, যতই সুযোগ সুবিধা দিয়ে সম্পদ প্রদর্শনের কথা বলা হচ্ছে কিন্তু সম্পদশালীরা তাদের সম্পদ প্রদর্শন করছে না। তারা আয়টা নিশ্চয় এমনভাবে করছে যা প্রদর্শন করলে তাদেরকে নানান প্রশ্নের মুখে দাঁড়াতে হতে পারে তাই হয়তো তারা তা প্রদর্শিত করছে না।
বিদেশে অর্থ জমানোর ক্রমবর্ধমান প্রবণতা ও লাগাম টানতে এখন বড় চ্যালেঞ্জ জঙ্গিবাদ মোকাবেলার পাশাপাশি নিশ্চিত করতে হবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নত বিনিয়োগ পরিবেশ।
সেইসাথে বহু জাতিক কোম্পানির কর ফাঁকি বন্ধেও নজর দেওয়া তাগিদ দিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদ ও সিপিডি রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম