‘শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রেরই অংশ’
দীপক চৌধুরী : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, ব্যক্তি ও পরিবারের বিরুদ্ধে নয় বরং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শিল্পকলা একাডেমির ৬নং গ্যালারিতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত ও নিহতদের স্মরণে এ চিত্রপ্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আমির হোসেন আমু বলেন, এ হত্যাকা-গুলো কিন্তু কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা পরিবারের বিরুদ্ধে নয়। এসব হত্যাকা- বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে এবং দেশকে আবারও পাকিস্তান বানানোর জন্যই।
আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক আতিক প্রমুখ।
আমির হোসেন আমু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতেই ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। যারা দেশের স্বাধীনতা চায় না, তারাই শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সমগ্র জাতি সোচ্চার উল্লেখ করে আমু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে গ্রামে-গঞ্জে সাধারণ মানুষের মাঝে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশে উগ্র সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের কোনো স্থান হবে না। তিনি বলেন, পনের আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করে পাকিস্তানের সঙ্গে একটি কনফেডারেশন তৈরি করা। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নিতে পারেনি, তারাই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের সহায়তায় পনের আগস্টের নৃশংস হত্যাকা- ঘটিয়েছিল।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ঘাতকচক্র এদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে জনগণের মন থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তার কালজয়ী আদর্শ ও নেতৃত্বের জন্য ষোল কোটি মানুষের হৃদয়ে আজও বেঁচে রয়েছেন। সম্পাদনা : আ. হাকিম