২০ দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক আজ আসছে রামপাল অভিমুখে লংমার্চ
শাহানুজ্জামান টিটু : সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ এবং অবিলন্বে তা বন্ধের দাবি জানিয়ে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নেতৃত্বে আসছে রামপাল অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি।
এছাড়া গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে এর প্রতিবাদে ঘেরাও অথবা বিক্ষোভ কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে শরিকদলগুলোর নেতাদের মতামত জানতে আজ রাতে জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও জোটনেতা খালেদা জিয়া। বিএনপির সিনিয়র এক নেতা সম্ভাব্য কর্মসূচির বিষয়ে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, জনগণের দল হিসেবে বিএনপি বা ২০ দলীয় জোট সরকারের জনস্বার্থবিরোধী কর্মকা-ের প্রতিবাদ না জানিয়ে চুপ থাকতে পারে না। বিক্ষোভ সমাবেশ, ঘেরাও কর্মসূচি ও রামপাল অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচির বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে। যে কর্মসূচিই নেওয়া হোক না কেন, তা ঈদের আগে না পরে হবে তা নিয়েও জোট নেতাদের মতামত জানার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, যোগ করেন তিনি।
এদিকে, ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, জোটের শীর্ষ পর্যায়ের সভায় যদি লংমার্চ ও ঘেরাও কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনা হয়, তাহলে অবশ্যই তার দল এই কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সর্মথন জানাবে। তিনি বলেন, রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন যেমন জনস্বার্থবিরোধী, পাশাপাশি জনগণের সমস্যার কথা বিবেচনায় না নিয়ে সরকার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ জানাতে হবে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, কর্মসূচির বিষয়ে দলের নীতিনির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নেবেন। সুন্দরবন ধ্বংস করে দিতে সরকার জোর করে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর বিরুদ্ধে অবশ্যই বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট কঠোর কর্মসূচির বিষয়ে ভাবছে। জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা ও তাদের মতামতের ভিত্তিতে কর্মসূচির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। তিনি বলেন, বিএনপি গ্যাসের মূল্য বাড়ানো হলে তা মেনে নেবে না। এর প্রতিবাদ জানাতে বিক্ষোভ ও ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামবে।
রামপাল অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচির নেতৃত্ব কে দেবেন, তা নিয়ে ২০ দলীয় জোটের সভায় আলোচনা হতে পারে। দলটির নেতারা মনে করেন, বর্তমানে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। পরপর কয়েকটি জঙ্গিহামলার ঘটনার পর দলের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে বিএনপি উদ্বিগ্ন। ফলে রাজধানীর বাইরে তিনি লংমার্চ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান নেতারা। সম্পাদনা : মোরশেদ