গণতান্ত্রিক দলগুলোকে পিছনে ফেলতেই নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে : ফখরুল
কিরণ সেখ : গণতািন্ত্রক ও দেশপ্রেমিক দলগুলোকে পিছনে ফেলতেই হঠাৎ করে ক্ষমতাসীনরা মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল র্বোবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত এক স্মরণ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘ন্যাপের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল গনি স্বপনের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী’ শীর্ষক এ সভায় তিনি অভিযোগ করেন, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যে বক্তব্য দিয়েছেন’ ওই বক্তব্যের অনেকেই অপব্যাখা দিচ্ছেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে আলোচনা করতে বিএনপি চেয়ারপারসন কাউকে কোনো চিঠি দেননি। তিনি ‘খালেদা জিয়া’ নিজ উদ্যোগে সবার সঙ্গে আলোচনা করছেন। এই আলোচনা চলমান রয়েছে। খুব শিগগির জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে আমরা একটি জায়গায় প্ৗেছাবো।
২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক ঘটনা। এটি বর্বরতম হত্যাকা- বলে মন্তব্য করেন তিনি। এসময় বিএনপির এ নেতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানান।
তিনি জানান, জাতীয় ঐক্যের কথা বলে আমরা আন্দোলন ও সংগ্রামের কথা বলছি না। জঙ্গিবাদকে রুখতে ও দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতেই জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন খালেদা জিয়া। মির্জা ফখরুল আরও অভিযোগ করেন, দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। কারণ সরকার জঙ্গিবাদের কথা বলে বিরোধী দলকে দমন করার ষড়যন্ত্র করছে। পক্ষান্তরে তারা ‘সরকার’ জঙ্গিবাদকে লালন-পালন ও প্রশ্রয় দিচ্ছেন।
রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি জীব ও পরিবেশের ক্ষতি করে তাহলে এই বিদ্যুৎ দিয়ে আমরা কি করব। সরকারের কাছে প্রশ্ন রাখেন মির্জা আলমগীর। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভারতকে আমরা সব দিচ্ছি। কিন্তু বিনিময়ে ভারত বাংলাদেশকে কি দিচ্ছে? এখন পর্যন্ত আমরা তিস্তার পানি পাইনি। আমরা সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে বলেছি, কিন্তু সেটাও বন্ধ হয়নি। তবে আমরা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব চাই। কিন্তু সেটা আমাদের মর্যাদা বিসর্জন দিয়ে নয়। সুতরাং আমাদের বক্তব্য ভারতের বিরুদ্ধে নয়, আমাদের বক্তব্য হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে মির্জা আলমগীর বলেন, সরকারকে বাধ্য করতে অতিদ্রুত নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে। আর এজন্য আমাদের আন্দোলন ও সংগ্রাম করতে হবে। আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানির সভাপতিত্বে এতে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ‘কাজী জাফর’ মোস্তফা জামাল হায়দার, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম