এসপি বাবুল আক্তার প্রশ্নে বিব্রত হচ্ছে পুলিশ
আজাদ হোসেন সুমন: পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার প্রশ্নে বিব্রত হচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। সংবাদকর্মীসহ বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিদিন আইজিপিসহ পুলিশের কর্তাব্যক্তিরা বাবুল আক্তারের ‘আমল নামা’ নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন। বাবুল আক্তার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেনি বলে দাবি করে আলোচনাকে আরও উস্কে দিয়েছেন। ফলে পুলিশের দায়িত্বশীল পদে থাকা কর্মকর্তারা বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে আছেন। খুব শিগগিরই বাবুলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হচ্ছে জানিয়ে পুলিশের এক পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, এসপি পদ মর্যাদার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার কাছ থেকে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই নেওয়ার বিষয়টি বিশ্বাস করা মানে বোকার স্বর্গে বাস করা। তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে আবার কি কারণে অস্বীকার করছেন সেটা উনিই ভালো জানেন। এ ব্যাপারে গতকাল আইজিপি একেএম শহীদুল হক মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, এসব গাঁজাখুরি বিষয়। বাবুল নিজেই দায়িত্ব পালনে অপরাগতা প্রকাশ করে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন।
পুলিশ সদর দফতরের একাধিক সূত্র জানায়, চাকরি বিধি অনুযায়ী কোনো কর্মকর্তা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে- সেটা তিনি আর নিজে থেকে উইথড্র করতে পারেন না। তবে কর্তৃপক্ষ যদি তার সে পদত্যাগ পত্র গ্রহণ না করে তাকে চাকরিতে যোগদান করতে বলেন- তাহলেই কেবল তিনি চাকরি ফিরে পেতে পারেন। এক্ষেত্রে বাবুলকেও সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সূত্র আরও জানায়, বাবুল অবশ্য চাকরিতে যোগদান করার জন্য পুলিশ সদর দফতর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (প্রশাসন) বিনয় কৃষ্ণ বালা গতকাল তার দফতরে এ প্রতিবেদককে বলেন, পদত্যাগপত্র দাখিলের পর ওই কর্মকর্তা নিয়ম অনুযায়ী পুনরায় লিখিত কোনো আবেদন করতে পারেন না। ফলে তার আবেদনটি অগ্রগামী করা হয়নি। সেটা ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে বাবুল আক্তার বিভিন্ন মহলে তদবির করছেন আর বলে বেড়াচ্ছেন, তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেননি। যা পুলিশের বক্তব্যের সঙ্গে পরস্পরবিরোধী। এ বিব্রতকর অবস্থা এড়াতে যথাশীঘ্র সম্ভব বাবুল ইস্যুর সমাধান করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তার মতে, রাষ্ট্রপতি দেশে না থাকায় এটি ঝুলে ছিল। এখন তিনি দেশে ফিরেছেন এ বিষয়ে সুষ্ঠু একটি সুরাহা হবে।
অন্যদিকে, বাবুল আক্তার ৬ জুন পুলিশ সদর দফতরে রিপোর্ট করে বনশ্রী এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান নেন। তার আগের দিন ৫ জুন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু চট্টগ্রামে খুন হন। ২৩ জুন বাবুল আক্তারকে বাসা থেকে ডেকে এনে ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা। সেখানেই তিনি পদত্যাগ করেন। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি