১ সপ্তাহে ২০ লাখ তথ্য ফরম সংগ্রহ অ্যাপার্টমেন্টে ফ্যামিলি, অঘোষিত মেস ও অফিস ঠিক তথ্য দেয় না
বিপ্লব বিশ্বাস: গত এক সপ্তাহে প্রথম ধাপে প্রায় ২০ লাখ তথ্য ফরম ভাড়াটিয়া ও বাড়িওয়ালাদের কাছ থেকে পুলিশ সংগ্রহ করেছে। তবে ‘সিস্টেমের সমস্যায়’ ঠিকমতো তা সংগ্রহ করা যায়নি বলে জানিয়েছেন পুলিশের মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহকারীরা। যে কারণে পুলিশের ভেতরে রয়েছে অসন্তোষ। যদিও পুলিশের কর্মকর্তারা ব্যর্থতার বিষয়টি স্বীকার করতে রাজি নন।
রাজধানীর থানাগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা গেছেÑ যেসব অ্যাপার্টমেন্ট ফ্যামিলি বসবাসের পাশাপাশি অঘোষিত মেস ও অফিস হিসেবে ব্যবহার হয়, তাদের বেশিরভাগই ঠিকমতো তথ্য দিতে পারেননি। মেস ও অফিসগুলো কারা ভাড়া নিচ্ছেন, সে তথ্য নেওয়া কেন সম্ভব হয়নি প্রশ্নে মাঠকর্মীরা বলছেন, অনেক বাড়ি আছে যেখানে ভাড়া নিয়ে অফিস করা হয়েছে। সেখানকার ভাড়াটিয়া তথ্য ফর্ম জমা পড়লেও সব কর্মকর্তার নাম দেওয়া হয়নি। ব্যক্তিগতভাবে বাসা ভাড়া নিয়ে মেস করেছেন যারা, তারাও স্বীকার করতে চান না বলে তথ্য দেননি, এমন অভিযোগ মিলেছে। যারা একাধিক জায়গায় বাসাভাড়া নিয়েছেন, তাদের নাম একাধিক জায়গায় ডাটাবেজে এলে পরবর্তীতে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে, সেই শঙ্কা থেকেই তথ্যগোপন করা হয়েছে। যদিও মুখে পুলিশ বলছে, তাদের কাজ প্রায় শেষ। এখন সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়ার ব্যবহার করে তথ্যভা-ার তৈরির কাজ বাকি। কিন্তু সম্প্রতি একাধিক জঙ্গি আস্তানায় পুলিশি অভিযানের পর দেখা গেছে, ভাড়াটিয়ার তথ্য সঠিক ছিল না। আবার অল্প দিনের ব্যবধানে বাসাভাড়া নেওয়ায় তথ্য ফর্ম জমা না দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। এমনকী কল্যাণপুরে অভিযানের পর জানা যায়, ভাড়াটিয়া হিসেবে জঙ্গিরা বাড়িভাড়া নিলেও তারা ভাড়াটিয়া তথ্যফরম পূরণ করেনি। কল্যাণপুরে এবং নারায়ণগঞ্জে জঙ্গিরা কম সময়ের ব্যবধানে বাসায় ওঠার কারণে কোনো তথ্য ছিল না।
রাজধানীর প্রত্যেক নাগরিককে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তার অনুরোধ জানান কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। যেসব বাসার মালিক ভাড়াটিয়াদের তথ্য পুলিশকে দেননি, তাদের দ্রুত তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানান। অন্যথায়, ওইসব বাসার মালিকদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তপন চন্দ্র সাহা বলেন, তথ্য সংগ্রহ শেষপর্যায়ে। যারা এতদিনে জমা দেননি, তারা এখন দিচ্ছেন। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম