সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী রিফুজি নারী
পরাগ মাঝি : ২৬ বছর আগের কথা। সোমালিয়ার মোগাদিসুর একটি পরিবার সর্বস্ব বিক্রি করে দিয়েছিল তাদের কিশোরী মেয়েকে বিদেশের নিরাপদ ভূমিতে বড় করার জন্য। ১৮ বছরের মেয়েটি উত্তর ইউরোপে একেবারে কাঙ্গাল বেশে প্রবেশ করেছিল, খুঁজছিল আশ্রয়। এখন তিনি একজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত কর্মী। তার নাম ফাদুমো দায়িব। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করে জানান, দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে চান তিনি এবং সেখান থেকে খুন-খারাবি এবং দুর্নীতি দূর করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে চান।
দায়িব ১৯৯০ সাল থেকেই ফিনল্যান্ডে বসবাস করছেন। আগামী মাসেই অনুষ্ঠিতব্য সোমালিয়ার গুরুত্বপূর্ণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি প্রার্থী। এজন্য অবশ্য তাকে প্রতিনিয়তই প্রাণনাশের হুমকির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তবে দাবি করছেন, দেশে তার প্রচুর জনসমর্থন রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো শক্তিশালী বেশকিছু রাষ্ট্র কয়েক দশকের মধ্যে সোমালিয়া হতে যাওয়া সত্যিকারের গণতান্ত্রিক নির্বাচনে দৃষ্টি রাখছে। যদিও সত্যিকার অবস্থাটা এত উৎসাহজনক নয়, বরং একটু জটিল। দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন সারা দেশ থেকে প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটে নির্বাচিত ১৪ হাজার প্রতিনিধির পছন্দের উপর ভিত্তি করে।
আসছে নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন ১৮ প্রতিদ্বন্দ্বী। যাদের মধ্যে আছেন ২০১২ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা হাসান শেখও; যিনি একজন প-িত ও শিক্ষাকর্মী। তবে ওই ১৮ জনের মধ্যে একমাত্র নারী প্রার্থী হলেন দায়িব।
ফিনল্যান্ডের হেলসিংকিতে অবস্থিত নিজ বাসভবন থেকে গত বুধবার গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট হতে নিজের সম্ভাবনা শূন্য বলে উল্লেখ করেন। তার ভাষায় সেখানে যোগ্যরা জয়ী হয় না। তিনি বলেন, আপনি দুর্নীতি না করতে পারলে ওই প্রক্রিয়ার মধ্যে সহজে প্রবেশ করতে পারবেন না।
তবে তার প্রচারণা ইতোমধ্যেই একটি সাড়া ফেলেছে। নারীদের নিয়ে তার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য দেশটির ১১ মিলিয়ন বাসিন্দার কাছে তাকে নতুন করে পরিচিত করে তুলছে। প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে এবার তার খুব বেশি প্রত্যাশা না থাকলেও তার মূল লক্ষ্য আসলে ২০২০ সালের নির্বাচন। সেই নির্বাচনে জয়ী হতে তিনি আশাবাদী। তার উপর ভরসা রাখছে তার শুভাকাঙ্খীরাও। গার্ডিয়ান থেকে