স্বচ্ছ ইসি গঠনে যথার্থ সাংবিধানিক আইন মেনে চলার পরামর্শ
জাহিদ হাসান: নির্বাচন কমিশন গঠনে সাংবিধানিক যে আইন সেটি যথাযথভাবে মানতে হবে এমন মন্তব্য করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের আইন কার্যকর হলে নতুন নির্বাচন কমিশনার গঠনে কোনো সমস্যাই হওয়ার কথা না। কিন্তু সেটি না মানার কারণে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য যে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে, সেটির কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ সংবিধানে উল্লেখ আছে রাষ্ট্রপতি সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে নিয়োগ দিতে পারেন। মঙ্গলবার রাত আটটায় একাত্তর সংযোগ অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, বর্তমানে নির্বাচন কমিশন গঠনে আমাদের সংবিধানে যে আইন আছে সেটিই মানা হচ্ছে না। কিন্তু বর্তমানে পৃথিবীর এমন কোনো গণতান্ত্রিক দেশ নেই যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বজার রাখার জন্য আন্দোলন করেনি। কিন্তু আমাদের দেশের আন্দোলন সেভাবে হচ্ছে না।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি কথাই বার বার বলা হচ্ছে আর সেটি হলো সংলাপ। কিন্তু আমরা সংলাপ কার সঙ্গে করব। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী এবং যারা উগ্রসন্ত্রাসবাদে জড়িত তাদের সঙ্গে সংলাপ করা কিভাবে সম্ভব। আমি মনে করি তাদের নির্বাচনেও অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া উচিত না।
নাসিরনগরের হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নাসিরনগরে যে হামলা হয়েছে সেখানে যদি আওয়ামী লীগের কোনো মন্ত্রী এমপি জড়িত থাকে তাহলে তাদের বিচার আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে করবেন। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কারণ কেউ ক্ষমতাসীন দলের কোনো মন্ত্রী-এমপিকে দোষারোপ করে তাহলে আমরা তাকে সরাসরি অপরাধী বলতে পারি না। এ ব্যাপারে তদন্ত করে তারপর সে যদি দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে তাকে অবশ্যই দায়ী করা যাবে এবং তার বিচার করতে হবে। সম্পাদনা: আনোয়ার