আশ্চর্য গির্জা! ‘মেক্সিকোর মিচোয়াকান রাজ্যের’
খ্রিস্টীয় দর্পণ ডেস্ক
২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩ সাল মেক্সিকোর মিচোয়াকান রাজ্যের পারিকুতিন আগ্নেয়গিরিতে শুরু হলো অগ্ন্যেয়ৎপাত। পাশের গ্রামের দিকে ধেয়ে আসতে লাগল গনগনে লাভা। পুরো গ্রাম পুড়ে ছাই। বাড়ি-ঘর কিছুই টিকল না। টিকে গেল কেবল সান হুয়ান পারানগারিকুতিরো নামের একটি গির্জা! লাভায় সব ধীরে ধীরে চাপা পড়লেও গির্জা পর্যন্ত লাভা পৌঁছতে সময় লাগল এক বছর। কিন্তু গির্জার নিচের দিকে থাকা অতিকায় পাথরের চাঁইগুলোর কিছুই হলো না। তবে পরের আট বছরে ধীরে ধীরে গির্জার নিচের দিকের অর্ধেকটা লাভার নিচে চাপা পড়ে গেল। কিন্তু অক্ষত অবস্থায়ই থাকল ঊর্ধ্বাংশের টাওয়ার ও বেদি। এখনো বহালতবিয়তে টিকে আছে গির্জার ওপরের অংশটি। গ্রামটিতে একসময় যে প্রাণের চিহ্ন ছিল, তার প্রমাণ একমাত্র ওই গির্জা। বাকি কোনোকিছুর নাম-নিশানা নেই। কেউ বলছেন, এ ঈশ্বরের মর্জি। আবার কেউ কেউ গির্জা তৈরির সময় ব্যবহার করা মোটা বড় আকারের পাথরের টুকরোকেই দিচ্ছেন কৃতিত্ব। তবে কারণ যা-ই হোক, সান হুয়ান গির্জা দেখতে মেক্সিকো ছুটে আসেন অনেকে। রাজ্যের আনগাহুয়ান বাসস্টপ থেকে এক ঘন্টার হাঁটাপথ। হাইওয়ে পার হয়ে তার মোড়ানো গেট ধরে এগোতে হবে। এরপর মূল টাওয়ার স্কয়ারে গিয়ে যেতে হবে ডানে। ২০০ মিটার পর আবার বাঁয়ে গিয়ে কিছু দূর এগোলে মিলবে টুরিস্ট সেন্টার। সেখানে গিয়ে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই দেখিয়ে দেবে গির্জার পথ। (সূত্র: কালের কণ্ঠ)