যীশুর পরীক্ষা
খ্রিস্টীয় দর্পণ ডেস্ক
আমরা অনেকে পরীক্ষার কথা শুনলে ভয় পাই। আমাদের পরীক্ষার চাইতেও যীশুর পরীক্ষা অনেক কঠিন ছিল।
যোহনের কাছ থেকে বাপ্তিস্ম নেওয়ার পর যীশু চল্লিশ দিন মরু-এলাকায় থাকলেন। তার যখন খুব খিদে পেল তখন শয়তান তাকে পরীক্ষা করতে শুরু করল। সে চেষ্টা করল যেন যীশু ঈশ্বরের অবাধ্য হয় ও ঈশ্বরের সব কাজ ধ্বংস হয়ে যায়।
শয়তান বলল ‘তোমার তো খুব খিদে পেয়েছে, এই পাথরটাকে রুটি হয়ে যেতে বল।’ কিন্তু যীশু তা করতে অস্বীকার করলেন। ঈশ্বর তাকে অনেক শক্তি দিয়েছিলেন কিন্তু তিনি তা নিজের জন্য ব্যবহার করতে চাইলেন না।
শয়তান আবারও বলল ‘আমাকে প্রণাম কর, আমার সেবা করÑ তাহলে আমি পৃথিবীর সব ধন-সম্পদ তোমাকে দেব।’ যীশু আবারও তা করতে অস্বীকার করলেন।
তিনি বললেন, ‘ঈশ্বর বলেছেন যে, আমাদের উচিত কেবল তাকেই প্রণাম করা, আর কাউকে নয়’। শয়তান সব রকমের চালাকি করে যীশুকে ঈশ্বরের অবাধ্য করতে পারল না।
যীশুর কাজের শুরু
গালীল প্রদেশের নাসরত গ্রামে কাঠমিস্ত্রীর দোকানে যীশু যে কাজ করতেন তা তিনি ছেড়ে দিলেন।
এখন তার জীবনের আসল কাজ শুরু হয়েছে। যীশু ঈশ্বরের সুসমাচার লোকদের কাছে প্রচার করা শুরু করলেন।
তিনি বললেন, ‘আমরা এখন একটি বিশেষ সময়ে বাস করছি। ঈশ্বরের রাজ্য এসে গেছে। আপনারা মন্দ পথ থেকে ফিরে এসে ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বাস করুন।’ কিন্তু তার নিজের গ্রাম নাসরতের লোকেরা তার কথায় কান দিত না। যীশু গালীলের চারদিকে অন্য শহরে ও গ্রামে গ্রামে গিয়ে শিক্ষা দিতেন আর লোকেরা আগ্রহ নিয়ে তার কথা শুনতে লাগল।
(সূত্র: ক্রাইস্ট বিডি)