শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুরাতন হাইকোর্ট ভবনেই থাকছে!
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী : শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুরাতন হাইকোর্ট ভবনেই থাকছে। এই ভবন থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে ভবনটি দখল মুক্ত করার যে অনুরোধ সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষ করেছিল, তাতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এমনটাই আশ্বাস পেয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। ওই আশ্বাস পাওয়ার কারণে এখন আইন মন্ত্রণালয় মনে করছে শিগগিরই সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিবে।
বিশেষ একটি সূত্র জানায়, হাইকোর্টের পুরতান ভবন থেকে যেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সরাতে না হয় এবং সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষ যাতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন এবং তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করেন সেই জন্য আইন মন্ত্রণালয় থেকে অনুরোধ করা হয়। সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতে তারা বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করছেন। এ ব্যাপারে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আইনমন্ত্রীও কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিচার কাজ অব্যাহত রাখা এবং বিচারের ও ভবনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনুধাবন করে সুপ্রিম কোর্ট আমাদের চিঠির প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করে এখন যেখানে বিচারকাজ চলছে সেই বিচার করার সুযোগ দিয়ে সিদ্ধান্ত নিবে। এটুকু বলতে পারি আপাতত যেখানেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আছে সেখানেই থাকবে। আশা করছি শিগগিরই এ ব্যাপার সমাধান হয়ে যাবে। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে এই বিষয়ে আপনার কোনো কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে, তিনি জানান, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে এই বিষয়ে তার কথা হয়েছে এবং ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছেন। আপাতত পুরনো জায়গায় থাকার আশ্বাস মিলেছে।
আন্তর্জান্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের তরফ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয় আইন মন্ত্রণালয়কে। সেই সময় দেওয়া হলে এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব উপরের নির্দেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে চিঠি দেন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ পর্যন্ত এ ভবনের একটি অংশে আইন কমিশন ও বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অফিস হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। আইন কমিশন ও বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন ১৫, কলেজ রোড, ঢাকা ঠিকানায় স্থানান্তর করে উক্ত ভবনটিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হিসাবে ব্যবহার উপযোগী করার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়। সম্পাদনা: এনামুল হক