পাঠ্যপুস্তকের ভুলের জন্য বিচার হওয়া উচিত : শিক্ষামন্ত্রী
শারমিন আজাদ: পাঠ্যবইয়ে ভুল হওয়া কোনোভাবেই উচিত হয়নি স্বীকার করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এই ভুল ক্ষমা করার মতো নয়। তিনি আরও বলেন, এই ভুলের জন্য বিচার হওয়া উচিত। যারা ভুল করেছে, তারা রেহাই পাওয়ার যোগ্য নন।
গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, পাঠ্যবইয়ের ভুলগুলো শুদ্ধ করার এখনো সময় আছে। তিনি আরও বলেন, মানুষের ভুলত্রুটি হতেই পারে। তবে কিছু ভুল হওয়া উচিত ছিল না। নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, পাঠ্যবইয়ে ভুলের জন্য কে বেশি দায়ী, আর কে কম দায়ী, সেটা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠ্যপুস্তকের ভুলত্রুটি নির্ণয় ও দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে সুপারিশ দিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিষয়টি উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তদন্ত কমিটি হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর ভুল সংশোধনসহ অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন পাঠ্যপুস্তকে ভুলত্রুটি বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) গঠিত তদন্ত কমিটির প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে দু’জন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্তের জন্য একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন শুধু বই ছাপানো, বাঁধাই ও বিতরণের দায়িত্ব পালন করে থাকে এনসিটিবি। প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকের পা-ুলিপি প্রণয়ন, সম্পাদনা, পরিমার্জন ও অনুমোদনের দায়িত্ব পালন করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। একইভাবে মাধ্যমিক স্তরের পা-ুলিপি প্রণয়ন, সম্পাদনা, পরিমার্জন ও অনুমোদনের দায়িত্ব পালন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই মুদ্রণ ও বিতরণে বিশ্বব্যাংক আংশিক আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে। যা পেতে নানা রকম আনুষাঙ্গিকতা পালন করতে হয়। যার কারণে মুদ্রণের জন্য খুব সীমিত সময় পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে কিছু ভুলত্রুটি সত্ত্বেও সকল শিক্ষার্থীর কাছে বছরের শুরুর দিনে বই পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। এতে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা উৎসাহিত হয়েছে। সামান্য ত্রুটি-বিচ্যুতির কারণে এ উৎসাহে যাতে ভাটা না পড়ে, সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। মন্ত্রী জানান, বইয়ের ভুলত্রুটিগুলো সংশোধন করা হবে। যেসব পৃষ্ঠায় বড় ধরনের ভুল রয়েছে, সেগুলো পুনঃস্থাপন করা হবে। সম্পাদনা: এনামুল হক