রাষ্ট্রপতির ইচ্ছার উপর ইসির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে : মির্জা ফখরুল
কিরণ সেখ: রাষ্ট্রপতির ইচ্ছার উপর নির্বাচন কমিশনের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বুধবার রাজধানীর কচি কাঁচা মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। ‘চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলামের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী’ উপলক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতিমদের টাকা চুরি করে খেয়েছেন ‘খালেদা জিয়া’-
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রধানমন্ত্রী রায় দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এই মামলা মিথ্যা, অথচ প্রধানমন্ত্রী অনুসন্ধান করে রায়ও দিলেন। কারণ একজন ব্যক্তিই ‘শেখ হাসিনা’ রাষ্ট্র প্রধান, সরকার প্রধান, বিচার বিভাগীয় প্রধান ও তদন্তকারী প্রধান হিসেবে কাজ করছেন।
জঙ্গিদের উস্কানি দাতাদের বিচার করা হবে- প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমরাও বিচার চাই। সঠিকভাবে জঙ্গিদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনুন। কেন বিচারের আওতায় আনছেন না? নিজেদের চেহারা বদলে যাবে বলে, মুখোশ উন্মোচন হবে, তাই কী?
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশ গভীর সংকটে। জনগণকে একত্রিত করে সকল দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে এ সংকট দূর হবে। অন্যথায় সংকট নিরসন সম্ভব নয়। ১/১১ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১১ জানুয়ারি দুঃখের দিন। কারণ এই দিনে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ও গায়ের জোরে একটি সংবিধান অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত সরকারকে সরিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেছিল। সুতরাং, এই দিনটি গোটা জাতির জন্য কলঙ্কজনক।
তিনি বলেন, ১/১১ সময় আমরা ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র চোখে দেখেছি। ওই ষড়যন্ত্র ছিল দেশকে বিরাজনীতিকরণে। তবে ১০ বছর পরও বর্তমান বিরাজনীতিকরণের ভিন্ন প্রক্রিয়া চলছে। তিনি অভিযোগ করেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১ জানুয়ারি এরশাদকে সমাবেশ করতে দেওয়া হয়েছে এবং ১০ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ করেছে। অথচ আমরা ৭ জানুয়ারি সমাবেশ করতে চাইলে আমাদেরকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৭ বার বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, জাসাসের সভাপতি এম এ মালেক, মনির খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সম্পাদনা: নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী