ছেলেদের সঙ্গেই সাঁতার শিখতে হবে সুইস মুসলিম মেয়েদের
পরাগ মাঝি: সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের এক মুসলিম দম্পতি সাঁতার শিক্ষা ক্লাসে তাদের মেয়েকে না পাঠানোয় স্কুল থেকে জরিমানা করা হয়। তারা চাইছিলেন না স্কুলের অন্যান্য ছেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের মেয়ে সাঁতার শিখুক। তাই জরিমানার পর এই দম্পতি স্কুলে ছেলে-মেয়েদের একই সুইমিং পুলে সাঁতার শেখানোর বিরুদ্ধে সুইস আদালতের দ্বারস্থ জন। তবে, আদালত তাদের এই আবেদন খারিজ
করে দিয়েছে। মেয়েকে স্কুলে ছেলেদের সঙ্গে সাঁতার শেখার জন্য বাধ্য করা হচ্ছে এই মর্মে তুর্কী বংশোদ্ভূত ওই সুইস দম্পতির মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। সেখানকার বিচারকরা স্বীকার করেছেন যে স্কুল কর্তৃপক্ষের নীতি ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর এক ধরনের হস্তক্ষেপ। তবে এক্ষেত্রে কোনো ধর্মীয় অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে মনে করে না আদালত।
বিচারকরা বলেছেন যে শিশুদের সমাজে আর সবার সঙ্গে মিলে-মিশে থাকার শিক্ষার জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে অভিবাসী শিশুদের ক্ষেত্রে। ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত আরও বলেছেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ এক্ষেত্রে মুসলিম মেয়েদের ‘বুরকিনি’ (পুরো শরীর ঢেকে রাখা সাঁতারের পোশাক) পরার সুযোগ দিয়ে একটা রফা করতে পারতো। তবে আদালত বলেছে, সুইস কর্তৃপক্ষের অধিকার আছে তাদের পছন্দমত নিজেদের শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা করার। সুইজারল্যান্ডের এই স্কুলের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একেবারে কম বয়সী মেয়েদের ক্ষেত্রে একসঙ্গে সাঁতার কাটার নিয়ম শিথিল করার সুযোগ নেই। কেবল যেসব মুসলিম মেয়ে বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছেছে তাদের ক্ষেত্রেই ছেলেদের সঙ্গে একই সুইমিং পুলে সাঁতার না কাটার বিষয়টি বিবেচনা করা যায়। টাইম ম্যাগাজিন। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম