রাষ্ট্রপতি নিজের দলকে বোঝাতে সক্ষম হবেন, জনগণ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় : নজরুল ইসলাম খান
শাহানুজ্জামান টিটু: নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আওয়ামী লীগের আলোচনা নিয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আমরা আশা করি, রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে রাষ্ট্রপতি তার নিজের দল, যারা সরকারে আছে, তাদেরকে বোঝাতে সক্ষম হবেন, প্রভাবিত করতে সক্ষম হবেন যে, জনগণ একটা অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। সেই ধরনের একটা নির্বাচন করার জন্য একটা নিরপেক্ষ, যোগ্য, সাহসী নির্বাচন কমিশন দরকার। এটা যদি বোঝাতে পারেন, আমরা খুশি হবো।
রাষ্ট্রপতি তার দলকে বোঝাতে না পারলে যা হওয়ার সেটা আগামীতে দেখা যাবে, দলের সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচা রির্পোর্টাস ইউনিটিতে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান। ১/১১তে অসাংবিধানিক ক্ষমতা দখলের প্রতিবাদে এই সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ।
নজরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এই আলোচনা শুরু হয়েছে। বিএনপির সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে ইসি পুনর্গঠনের আলোচনা শুরু হয়। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে তা শেষ হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা হয়তো অনানুষ্ঠানিকভাবে হতো। বিএনপির প্রস্তাবের কারণেই সেই আলোচনা আনুষ্ঠানিকভাবে হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আজকের ক্ষমতাসীনরা বরাবরই গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। ’৭৫ জানুয়ারিতে গণতন্ত্রকে জবাই করেছে। দেশে যে জরুরি আইন করে গণতন্ত্রকে আংশিক ব্যাহত করেছে এই দলটি। এদেশের প্রথম কালাকানুন বিশেষ ক্ষমতা আইন করেছে। সরকারি বাহিনী দিয়ে জনগণের ওপর নিপীড়ন শুরু করেছে এই দলটি রক্ষীবাহিনী দিয়ে। আজকের ক্রসফায়ার দিয়ে গল্প বানানো এটারও শুরু করেছে এই দলটি সিরাজ শিকদারকে হত্যার মধ্য দিয়ে। এরশাদ ক্ষমতা দখলের পর এই দলটির নেত্রী বলেছে আই অ্যাম নট আন হ্যাপি। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রপ্রধানে কাছ থেকে সেনা প্রধান জোর করে ক্ষমতা দখল করবে আর একটি রাজনৈতিক দল সেটাকে সমর্থন করবে এটা কোনো মানুষের কথা হতে পারে না।
সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সিরাজুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রফেসর ড. মুসতাহিদুর রহমান প্রমুখ। সম্পাদনা: নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী