যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়নকে ঝুঁকিতে ফেলবেন ট্রাম্প : শিল্পপতিদের বিবৃতি
এম রবিউল্লাহ: যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৬ শতাধিক কোম্পানি ও বিনিয়োগকারী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ট নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসকে কম কার্বন নিঃসরণে প্যারিস জলবায়ু চুক্তির সঙ্গে থাকার কথা বলেছেন এই শিল্পপতিরা। প্যারিস জলবায়ু চুক্তির সঙ্গে না থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ঝুঁকিতে পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। প্যারিসে যে জলবায়ু চুক্তি হয়েছে তা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যার বিরোধিতা আগেই করেছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। একটি যৌথ বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি দিয়ে জলবায়ু চুক্তির পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন কোম্পানির শীর্ষস্থানীয় কর্তা-ব্যক্তিরা। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বত্বাধিকারীরা। জনসন অ্যান্ড জনসন, জেনারেল মিলস, কিলোগস, হিউলিট প্যাকার্ড এন্টারপ্রাইজ, ইউনিলিভারের মতো কোম্পানি জলবায়ু নিয়ে ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের আহবান জানিয়েছেন।
যৌথ বিবৃতিতে বিভিন্ন কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে জ্বালানি নির্ভর করে আরও শক্তিশালী করতে চাই এবং যাতে কার্বন নিঃসরণ হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। ব্যয় সাশ্রয়ী ও অভিনব পন্থা এই উদ্দেশ্য সাধনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কার্বণ নিঃসরণ হ্রাসে ব্যর্থ হলে আমেরিকার অর্থনীতিও ঝুঁকিতে পড়বে। তবে এই অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগিতা বাড়াতে হবে। বছরে ১.১৫ ট্রিলিয়ন আয় করা ৫৩০টির বেশি কোম্পানি যারা ১৮ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান করেছে তারা সবাই এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে। এর মধ্যে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের কমন রিটারমেন্ট ফান্ড, ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের টিচারস রিটারমেন্ট সিস্টেমসহ অন্য প্রতিষ্ঠানের ১০০ বিনিয়োগকারীও রয়েছে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী গ্লোবাল পলিসি এন্ড অ্যাডভোকেসির সিনিয়র পরিচালক আনা ওয়াকার বলেন, বিশ্ব নেতারা প্যারিস জলবায়ুর যে চুক্তি করেছে তার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদেরকে কাজ করতে হবে। তা না হলে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক উন্নয়ন ধাক্কা খাবে।
এদিকে ট্রিলিয়াম এসেট ম্যানেজম্যান্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জানাস করুন বলেন, কম কার্বন নিঃসরণের জন্য আমাদের অভিনব পদ্ধতি বের করতে হবে। তা না হলে আমাদেরকে সামনের দিকে বড় ধরনের হুমকিতে পড়তে হবে। দ্য ইন্ডিপেডেন্ট। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম