রাজাকারদের তালিকা করুন : সরকারকে গয়েশ্বর
কিরণ সেখ: মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারদের তালিকা করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট আয়োজিত ‘ষড়যন্ত্র ও ওয়ান ইলেভেনের সরকার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহবান জানান। সংগঠনের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারকে উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ৩০ লাখ শহীদদের গেজেট প্রকাশ করুন। মুক্তিযুদ্ধে যাদেরকে গণহত্যা করা হয়েছে, তাদের শহীদদের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করুন, তাদেরকে শহীদের মর্যাদা দিন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাওয়া মানে জেনেশুনে আত্মহত্যা করা। কারণ নির্বাচনের সময়ও পার্লামেন্ট চালু থাকবে। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যদি ১৫১ আসন না পেয়ে ১২০টি আসন পায় এবং স্পিকার যদি সংসদ ডেকে সেই নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করেন, তখন কি হবে? সুতরাং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ও সহায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি না দেওয়া প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, ১০ জানুয়ারি রাজধানীর সকল রাস্তা বন্ধ করে আওয়ামী লীগ সমাবেশ করেছে। একজন ছাত্র বিদেশি যাবে, তার যাত্রার সময় ছিল সন্ধ্যা ৬টায়, অথচ যানজটের কারণে তিনি সোয়া ৬টায় বিমানবন্দরে পৌঁছান। অর্থাৎ তার যাওয়া হয়নি। এটা কি অপরাধ নয়। প্রশ্ন রাখেন তিনি। ওজন করেও আওয়ামী লীগের অপরাধের পরিমাণ বলা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এ নেতা।
২০০৮ সালের নির্বাচন কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই নির্বাচনে দৃশ্যমান কোনো কারচুপি হয়নি, তবে অদৃশ্য কারচুপি হয়েছে। কোনো কোনো ভোট কেন্দ্রে ১ হাজার ভোট, অথচ ১ হাজার ১ শত থেকে ১২০০ দেখানো হয়েছে।
ওয়ান ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রসঙ্গে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এমাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ১/১১’ র পরিকল্পিতভাবে জরুরি অবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছিল। এই পরিকল্পনায় সব কথা প্রধানমন্ত্রী ‘শেখ হাসিনা’ জানেন। অথচ কেউ তাদের বিচারের কথা বলেন না। তবে এক সময় তাদের বিচার হবেই। সম্পাদনা: নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী