লটারি দিয়ে হলেও মানুষ যে পুণ্য অর্জন করতো!
হুমায়ুন আইয়ুব: আজান শব্দের অর্থ ডাকা, আহবান করা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় জামাতে নামাজ আদায় করার লক্ষ্যে মানুষকে মসজিদে একত্রিত করার জন্য আরবি নির্দিষ্ট শব্দ ও বাক্যের মাধ্যমে উচ্চকণ্ঠে ডাক দেওয়া বা ঘোষণা করাকেই আজান বলা হয়।
আর যিনি এ আজান দেন তাঁকে মুয়াজ্জিন বলা হয়। আজান প্রদানকারীর জন্য রয়েছে অনেক পুণ্য। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আজান প্রদানকারীর অসামান্য ফজিলত ঘোষণা করেছেন। হজরত মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান রা. হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘কিয়ামতের দিন সবচেয়ে বেশি লম্বা ঘর হবে মুয়াজ্জিনদের।’ (মুসলিম)
মুয়াজ্জিনের শব্দ যতদূর যাবে ততদূর পর্যন্ত তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। যেকোনো জীব ও জড় পদার্থ তার শব্দ শুনবে; তাকে (মুয়াজ্জিনকে) সমর্থন দেবে বা সত্যায়িত করবে। যত মানুষ মুয়াজ্জিনের আজানের দ্বারা নামাজ পড়বে তাদের সকলের সমপরিমাণ সওয়াব তারও (মুয়াজ্জিনের) হবে। হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যদি মানুষ জানত আজানে ও নামাজের প্রথম সারিতে কি আছে এবং লটারি ছাড়া তা অর্জন সম্ভব নয়। তাহলে ঐ ব্যক্তি লটারি করে হলেও তা অর্জনের চেষ্টা করত।’ (বুখারি ও মুসলিম)
আজান প্রদানকারীকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। মুয়াজ্জিন পরকালে অসামান্য মর্যাদার অধিকারী হবেন। এ মর্যাদা অর্জনে মু’মিন মাত্রই প্রতিযোগিতা করা উচিত। সম্পাদনা: এনামুল হক