ভারতের ১০৪টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ
গাজী মিরান: মহাকাশে একসঙ্গে ১০৪টি বিভিন্ন ধরনের স্যাটেলাইট প্রেরণ করার উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। এই উদ্যোগ সফল হলে বিশ্বে ভারতই হবে একসঙ্গে সবচেয়ে বেশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনকারী দেশ। এর আর আগে একসঙ্গে ৩৭টি স্যাটেলাইট প্রেরণ করেছিল রাশিয়া।
কাছাকাছি সময়ে মহাকাশ বিষয়ে কর্মকা-ে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। এই খাতে দেশটি তার খরচও বহুগুণ বাড়িয়েছে। এক সাথে এত সংখ্যক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে বিবিসি বাংলার এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানী ড. দেবী প্রসাদ দুয়ারী বলেন, ভারত যে ১০৪টি উপগ্রহ স্থাপন করবে তারমধ্যে তিনটি ভারতীয়। সবচেয়ে বড়টির নাম কার্টোসইট টু-বি। যেটি প্রায় ৭১৪ কিলোগ্রাম ওজন। এই উপগ্রহটিকে পাঠানো হচ্ছে ভারতবর্ষের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোকে পর্যবেক্ষণ করে তার সম্বন্ধে তথ্য পাঠানোর উদ্দেশ্যে। এটি ভারতের সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করার লক্ষ্যে ধারণা দেবে। এছাড়া ভারত ভূ খ-ে জলের পরিমাণ সম্বন্ধে একটি সম্মুখ পাওয়া যাবে।
ভারতের নিজস্ব স্যাটেলাইট ৩টি। বাকি স্যাটেলাইটগুলো সম্বন্ধে তিনি বলেন, হ্যাঁ এটাই আমাদের নতুন চমক। বাকি স্যাটেলাইগুলোর মধ্যে ৯৬টি মার্কিনদের এবং বাকি কয়েকটা রয়েছে অন্যান্য দেশের।
৯৬টি মার্কিন স্যাটেলাইট কী সামরিক না-কি বেসামরিক কাজের জন্য পাঠানো হচ্ছে?
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না। এগুলো মোটামুটি বেশিরভাগ বেসামরিক কাজের জন্য। ৯৬টির মধ্যে ৮৮টি ব্যবহার হবে মার্কিন সড়ক পরিবহনের কাজে। এছাড়াও কিছু স্যাটেলাইট কাজ করবে মার্কিনিদের জমিগুলোর অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পেতে। জমিগুলোতে কী আছে এবং তা কী কাজে লাগানো যায় সে সম্পর্কে।
এত ব্যয়বহুল কাজ নিয়ে ভারতে কী কোনো সমালোচনা হচ্ছে? এ সম্পর্কে ড. দেবী প্রসাদ দুয়ারী বলেন, যখন ভারত চন্দ্রযান বা মঙ্গলযান অভিযান করেছিল তখন প্রায় ৪৬০ কোটি টাকা খরচ হয়। তখন তা নিয়ে সমালোচনাও হয়। কিন্তু পরবর্তিতে অভিযান শেষে ভারতের জনগণ তার সুফল ও প্রশংসাও কিন্তু পেয়েছে। অর্থাৎ শুরুতে অনেক কথা আসলেও পরে কিন্তু দেখা যায় যে ভারত সরকার জনগণের ভালোর জন্যই সব কাজ করে থাকে। ভারতকে যদি আরও উন্নতি করতে হয় তবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দিকে এগিয়ে আসতেই হবে, যা ভারত করছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা