বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বাড়লেও ভারত শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে
জাফর আহমদ: দেশের মাথাপিছু আয় বাড়লেও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এখনো শেষের দিকে রয়ে গেছে। দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচ দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৪ নম্বরে। বাংলাদেশের শুধু নেপালের আগে অবস্থান রয়েছে। শ্রীলংকার মাথাপিছুু আয় সর্বোচ্চ। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, শ্রীলংকার ১৯৮১ সালে মাথাপিছু আয় ছিল ৯৭৩ দশমিক ৪ মার্কিন ডলার; ২০১৩ সালে দাঁড়ায় ৩৩৭২ দশমিক ২ মার্কিন ডলার। ভারতের ১৯৮১ সালে মাথাপিছু আয় ছিল ৪০৮ মার্কিন ডলার, ২০১৩ সালে মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়ায় ১,৫৫৫ মার্কিন ডলার; পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় ১৯৮১ সালে ছিল ৫৮০ মার্কিন ডলার, ২০১৩ সালে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১,০৮৬ দশমিক ৮ মার্কিন ডলার; এরপর রয়েছে বাংলাদেশ ১৯৮১ সালে ৩৬৭ দশমিক ২ মার্কিন ডলার থেকে ২০১৩ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৮৮১ দশমিক ৯ মার্কিন ডলার। সব শেষে নেপালের মাথাপিছু আয় দেশটিতে ১৯৮১ সালে মাথাপিছু আয় ছিল ২৯৯ দশমিক ৯ মার্কিন ডলার। ২০১৩ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৬৪৮ দশমিক ৭ মার্কিন ডলার।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির সকল সূচকে উন্নতি হয়েছে। উন্নতি হয়েছে সামাজিক ও মানবিকতার সকল সূচকে। বেড়েছে দেশের আমদানি-রপ্তানিতে। কয়েকশ কোটি টাকার বাজেট ৩ লাখ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিকূলতা ও স্থানীয় অস্থিরতার মাঝেও ৬ শতাংশের উপর প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে এবং সুসম ধারা অব্যাহত আছে। এর প্রভাব পড়ছে মাথাপিছু আয়ে। তবে অন্যান্য দেশেরও মাথাপিছু আয় অব্যাহত থাকার কারণে অন্যান্য দেশকে অতিক্রম করতে পারেনি।
২০১৫ সালের তথ্য অনুযায়ী সার্কের দেশগুলোর মধ্যকার তুলনায় আমাদের মাথাপিছু আয় কম। ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, নেপাল ও ভুটানের সাথে তুলনা করলে মালদ্বীপ ৮ হাজার ৩৪১ ডলার নিয়ে সর্বোচ্চ। তারপর ৩ হাজার ৫৭৭ ডলার মাথাপিছু আয় নিয়ে শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় স্থানে। ভারত ও পাকিস্তান যথাক্রমে তৃতীয় ও ৪র্থ স্থানে। সবশেষে অবস্থান নেপাল ও আফগানিস্তানের। ভারতের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৬২৬ ডলার, পাকিস্তানের ১ হাজার ৩৪২ ডলার। এক হাজার ৩১৬ ডলার নিয়ে বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছাকাছি। নেপাল ও আফগানিস্তানের মাথাপিছু আয় যথাক্রমে ৬৯৮ ও ৬৪৯ ডলার।