মাইকেল ফ্লিনের পদত্যাগপত্র পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
এম রবিউল্লাহ: মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনের পদত্যাগপত্র পেয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস মুখপাত্র শন স্পাইসার স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ফ্লিনের পদত্যাগপত্র নিয়ে তথ্যটি জানিয়েছেন।
স্পাইসার বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনকে পদত্যাগ করতে বলেছিলেন এবং তিনি তার পদত্যাগপত্র পেয়েছেন। ফ্লিনের প্রতি প্রেসিডেন্টের আস্থা কমে যাওয়া এবং রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। মাইকেল ফ্লিন মার্কিন সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল। তিন সপ্তাহ ট্রাম্পের শীর্ষ কৌশলগত উপদেষ্টার পদে থাকার পর স্থানীয় সময় সোমবার রাতে পদত্যাগ করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নেবার পর, তার শীর্ষ কর্মকর্তার সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে পদত্যাগের ঘটনা।
পদত্যাগপত্রে ফ্লিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার টেলিফোন আলাপ নিয়ে লিখেছেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এবং অন্যরা অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।
ওয়াশিংটন পোস্ট ও নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে গত শুক্রবার লেখা হয়, ওবামা প্রশাসন রাশিয়ার ওপর যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, ফ্লিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তা নিয়ে আলোচনা করেন। যদিও ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে এ ব্যাপারে অস্বীকৃতি ব্যক্ত করা হয়েছিল।
কংগ্রেসের সিনেট সভার বেশ কয়েকজন সিনেটর ফ্লিনের ব্যাপারে তদন্তের জন্য বলেন। অন্যরা আবার তাকে বরখাস্ত করবার জন্যে এবং তার নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সত্যায়ন পর্যালোচনার জন্যে প্রস্তাব দেন।
বিতর্কিত কাজের জেরে এভাবে পদ থেকে সরে যাওয়া সাবেক জেনারেল মাইকেল ফ্লিনের জন্য নতুন কিছু নয়। দুই বছর আগে পেন্টাগনের গোয়েন্দা সংস্থা ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (ডিআইএ) প্রধানের পদ থেকেও সরে যেতে হয়েছিল তাকে। ফ্লিনের দাবি, ‘ইসলামি সন্ত্রাসবাদের’ বিরুদ্ধে লড়াই নিয়ে ‘সত্যি’ কথা বলার জন্যই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
তিনি মনে করেন, ওই বৈশ্বিক যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র হেরে যাচ্ছে। তবে পেন্টাগনের ভিতরের খবর, ডিআইএকে একেবারে ঢেলে সাজানোর যে অজনপ্রিয় পরিকল্পনা ফ্লিন করেছিলেন, সেটির জন্যই তাকে সরে যেতে হয়েছিল। ভয়েস অব আমেরিকা ও সিএনএন