বিশ্বব্যাংকের ১৬টি গাড়ির পাসবুক চেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা
বিশ্বজিৎ দত্ত: শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহারের অভিযোগে বিশ্বব্যাংকের ১৬টি গাড়ি ও পাসবুক তলব করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। ৭ দিনের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধিকে জানাতে বলা হয়েছে গাড়িগুলোর তথ্য। গতকাল শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদফতরের মহাপরিচালক মইনুল খান এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশিরা ও দাতা সংস্থাগুলো শুল্কমুক্ত গাড়ি ব্যবহার করতে পারে। এ ক্ষেত্রে শুল্ক কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে একটি পাসবুক নিতে হয়। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর গোয়েন্দা তথ্য ও নিজস্ব অনুসন্ধানে জানতে পেরেছে যে বিশ্বব্যাংকের ১৬টি গাড়ি ৫ বছর বা আরও বেশি সময় আগে এ দেশে আনা হয়।
এগুলো ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু এই গাড়িগুলো কোথায় আছে, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য বিশ্বব্যাংক দেয়নি। এই গাড়িগুলো সম্পর্কে তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। গাড়িগুলো আনার বিষয়ে এন্ট্রি আছে তবে হস্তান্তরের বিষয়ে তথ্য নেই। এটি শুল্ক অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। মইনুল খান জানান, নিয়ম অনুযায়ী যেসব দাতা সংস্থা বা বিদেশি নাগরিক শুল্কমুক্ত গাড়ি ব্যবহার করবেন, তারা তাদের কাজ শেষ হওয়ার আগে তা শুল্ক কর্তৃপক্ষকে জনাবেন। তারা এই গাড়িগুলো একই মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করতে পারবেন। অথবা শুল্ক কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে নিলামও করতে পারবেন। তবে এসব ক্ষেত্রে শুল্ক কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। এ ছাড়া দেশীয় কারও কাছে বিক্রি করলে শুল্ক কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে এবং শুল্ক ও কর পরিশোধ করতে হবে। মইনুল খান আরও বলেন, ব্যবহারকারীরা কবে দেশে এসেছিলেন এবং কবে দেশ ত্যাগ করেছেন এসব তথ্যও জানতে চাওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ব্যবহারকারীরা তৃতীয় কোনো পক্ষের কাছে গাড়ি বিক্রি করে চলে গেছেন। এটা হয়ে থাকলে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরের এ বিষয়ে দায়িত্ব রয়েছে বলেও জানান মইনুল খান। তদন্তের প্রয়োজন হলে গাড়িগুলো জব্দ করা মামলার প্রক্রিয়া শুরু হবে। ব্যবহারকারীরা বিক্রি করে সুবিধা দিলে তাদের বিরুদ্ধে শুল্ক আইন ১৯৬৯ ও মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইন ২০১২ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা: নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী