নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন ও ই-ভোটিং করার পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
উম্মুল ওয়ারা সুইটি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের জন্য এখন থেকেই উদ্যোগ নিতে পারে নির্বাচন কমিশন। তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ই-ভোটিং ব্যবস্থা চালুর কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেন, আমরা চাই পরবর্তীতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের লক্ষ্যে একটি উপযুক্ত আইন প্রণয়ন করা হোক। গতকাল বুধবার জাতীয়এরপর
সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নাত্তরে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেন।
ইসি গঠন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, বিদ্যমান সব বিধি-বিধানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ই-ভোটিং এর ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
সঠিক উপায়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে। তিনি এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নতুন কমিশনকে অভিনন্দন ও প্রথমবারের মতো কোনো নারী নির্বাচন কমিশনার হওয়ায় তাকে শুভেচ্ছা জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন,বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সক্রিয় কূটনৈতিক উদ্যোগেই এ বছরের শুরুতে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম পুরনো বহুমুখী আঞ্চলিক সংস্থা ‘অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটস (ওএএস)’র স্থায়ী পর্যবেক্ষকের মর্যাদা লাভ করেছে। তিনি বলেন, ১৯৪৮ সালে গঠিত এই আঞ্চলিক সংস্থাটিতে উত্তর-দক্ষিণ-মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের মোট ৩৫টি দেশের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মোট ৭২টি রাষ্ট্র ও সংস্থা’র স্থায়ী পর্যবেক্ষক। সার্বিকভাবে অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটসর স্থায়ী পর্যবেক্ষকের মর্যাদা লাভ করায় আন্তর্জাতিক পরিম-লে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতর হয়েছে। সম্পাদনা: নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী